মানুষের ভালোবাসার ভোটে জিতেই গেছেন বেহালার তনু দি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আর পাঁচটা মেয়ের মতো নয় । ঘরের কাজের থেকেও বেশি মন টানতো ক্রিকেট খেলা , গাছে চড়া , মাঠে ময়দানে নেমে লড়াই , সবকিছুতেই।
ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল যেভাবেই হোক মানুষের পাশে দাঁড়াবে। তা সে পুলিশ অফিসার হিসাবে হোক , কিংবা রাজনীতি তে নেমেই হোক না কেন। তাই মাধ্যমিক পাশের পর থেকেই মন টেনেছিল রাজনীতির কঠোর বাস্তব দিকটা বোঝার ক্ষেত্রে।
তনুজা অধিকারী , ডাক নাম তনু দি। বাসিন্দা বেহালা ঠাকুরপুকুর এর খ্রিস্টান পাথওয়ের । এক কাপ চায়ে চুমুক , সঙ্গে তাঁর সম্বন্ধে জানা , উঠে এল বেহালার তনু দি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য।
বেহালা পশ্চিম এর অন্তর্গত , কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এই তনু দি। এক কথায় এলাকার বাসিন্দা হোক , কিংবা পাশের ওয়ার্ডের বাসিন্দা । সব জায়গাতেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এক কথায় প্রস্তুত তনু দি।
ভোটার ময়দানে না দাঁড়িয়েই , মানুষের মনের গভিরে জায়গা করে নিয়েছেন শুধু মাত্র কাজের জন্য ও ভালোবাসার জন্য। বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক শ্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর স্নেহধন্য তনু দি ।
ওনার হাত ধরেই রাজনীতির পড়াশুনা শুরু । আজ থেকে কত দিনের কথা , কিন্তু আজও বারবার উঠে আসে সেইসব পুরোনো দিনের কথা।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরেই শিখেছেন ভোটের কাজ করা থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। থেকেছেন প্রচারের বিপরীতেই । যখন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম সেই দিন থেকেই দলের একনিষ্ঠ কর্মী।
কোনো পোস্টে চাহিদা নেই । কিন্তু বর্তমান সমাজে মানুষের জন্য কিছু করতে গেলে দরকার কিছু রাজনৈতিক ক্ষমতাও।
ভোটের ময়দানে জিতে আশা আপনার আমার প্রতিনিধিরা যে প্রায়ই কাজের পরিবর্তে নিজের ব্যক্তিগত চাহিদা মেটাতে খুব বেশি যত্নবান থাকেন তা পরিষ্কার হয়ে যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই।
ওই ওয়ার্ডের বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে বার বার গিয়েছেন বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে , এলাকার সাংসদের কাছেও , তবে একেই পাড়ার প্রতিবেশী হয়েও পান নি ওই ওয়ার্ডের প্রতিনিধির কাছ থেকে কোনও সাহায্য।
এলাকার বার্ধক্য ভাতা হোক , কিংবা বিপিএল কার্ডের সুবিধা , কিংবা দীর্ঘ ছয় মাস কোনো রাস্তা সারাই না করে ফেলে রাখা দীর্ঘ দিনের স্বভাৱ। তাই কলকাতা পৌরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের লড়াকু নেত্রী নিজেই বারবার উদ্যোগ নিয়ে করেছেন নো সিএএ , নো এনআরসি সভা ।
সঙ্গে আছে রক্তদান উৎসব , কিংবা নতুন বছরে কম্বল প্রদান অনুষ্ঠানের মতো একাধিক দিকগুলি। পাড়ার মহিলারাও তনু দির মতো একজন বাসিন্দা সম্পর্কে বললেন তাদের অন্তরের কথা। এইভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তনুজা অধিকারী।
এখন দেখার এই ধরণের জেদি , লড়াকু , মহিলাদের কি দায়িত্ব দিতে পারে কলকাতা পুরসভা। রাজনৈতিক কূটনৈতিক দাবার চালে মানুষের ভালোবাসা পরাস্ত হয় , নাকি জয়ের পতাকা ওড়ায়। সেটাই এখন দেখার। কে বলে – রাজা তুমি উলঙ্গ , অপেক্ষা সময়ের।