প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের শুরুতেই সরগরম বিহারের রাজনীতি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পড়শি রাজ্যের নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়েছে গোটা দেশে। রবিবার বিহারের চারটি জায়গায় নির্বাচনী প্রচার সারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যেই ছাপড়াতে জনসভা শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও সমস্তিপুর, মোতিহারি এবং বাগাহাতে নির্বাচনী প্রচারে নামবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বিহার সফরের আগে তাঁর দিকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন মহাজোটের অন্যতম মুখ তেজস্বী যাদব।

 

এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বেকারত্ব, পরিযায়ী শ্রমিকদের ইস্যু এবং বিহারকে বিশেষ রাজ্যের সম্মান দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে এনডিএ জোটকে আক্রমণ ক্রতে পিছপা হননি লালু পুত্র।

এদিন নিজের ফেসবুকে বিহারের জেডিইউ এবং বিজেপির সরকারকে ‘ডবল ইঞ্জিন’ এর সরকার উল্লেখ করে তেজস্বী যাদব প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিহারের ডবল ইঞ্জিনের সরকার থাকা সত্বেও রাজ্য বাজেটের মাত্র ৪ শতাংশ কেন পানীয় জলের জন্য বরাদ্দ করা হয়।

এছাড়াও রাজ্যের অপুষ্টি এবং অনাহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকে প্রশ্ন তুলে ধরেন তেজস্বী। তিনি বলেন, বিহারে ১৫ বছরের এনডিএ সরকার থাকা সত্বেও এখনও কেন বিহারের মানুষকে অপুষ্টি এবং অনাহারের সমস্যায় ভুগতে হয়? কেন দেশের অন্যতম গরীব রাজ্যে বাজেটের শুধুমাত্র ২ শতাংশ অপুষ্টি এবং অনাহার নিয়ন্ত্রণে বরাদ্দ করা হয়?

এদিন প্রধানমন্ত্রীর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে লালু পুত্র আরও বলেন, বেকারত্বের দিক থেকে বিহার সবার আগে রয়েছে। রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার থাকার সত্বেও রাজ্যের বেকারত্বের হার ৪৬.৬ শতাংশ। এছাড়াও লকডাউনের কারণে যেসমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্য থেকে কাজ ছেড়ে বাড়ি ফিরে সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন, তাঁদের কথাও তুলে ধরেন তেজস্বী।

মনরেগা প্রকল্প অনুযায়ী জব কার্ডের মাধ্যমে প্রায় ১১ লক্ষ পরিবারকে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরক্র। এখন মাত্র ২,১৩২ টি পরিবারকে কাজ কেন দেওয়া হল? সে প্রশ্নও তুলে ধরেন তিনি।

 

রবিবার ছাপড়ার নির্বাচনী প্রচারমঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলতে শোনা যায় প্রথম দফার ভোটের পর এটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে এবারেও বিহারে নীতিশ কুমারের সরকার আসতে চলেছে।

পাশাপাশি তেজস্বী যাদবের ডবল ইঞ্জিনের সরকার উক্তিকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, বিহারের এখন ডবল ইঞ্জিনের সরকার যেমইন রয়েছে, অন্যদিকে দুই যুবরাজ রয়েছেন যার মধ্যে একজন ‘জঙ্গলরাজ’ এর জমানার।

ইতিমধ্যেই বিহারের নির্বাচনী উত্তাপ গোটা দেশের রাজনীতিকে সরগরম করে রেখেছে। তেজস্বী যাদবের নির্বাচনী প্রচারে ব্যাপক পরিমাণে মানুষের ঢল নজরে আসলেও ভোট ব্যাঙ্কের অঙ্কতে পিছিয়ে পড়তে পারেন তিনি। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট