নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নে বাড়তি নজর রাজ্যের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নে জেলা আধিকারিকদের নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে। পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তর থেকে জেলা উন্নয়ন আধিকারিকদের নিকাশী ছাড়াও মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে তৈরি করা শৌচালয়ের গুণগত মানের উপরেও নজরদারি বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
দপ্তরের তরফে সম্প্রতি জেলাগুলির সঙ্গে ভার্চুয়ালি এক পর্যালোচনা বৈঠকে নজরদারির পাশাপাশি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের জন্য আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার দুর্নীতি রুখে গ্রাম উন্নয়নে জোর দিতে চাইছে বলে আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন।
নতুন তৃণমূলটা কী? পাল্টা পোস্টারও পড়ল, তবে কি ঝড় আসতে চলেছে বঙ্গে!
প্রসঙ্গত নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচালয় তৈরি নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। বহু জায়গায় শৌচালয় তৈরি হলেও তা মানুষ ব্যবহার করে না। এর নির্মাণের গুনগত মান নিয়েও অসন্তুষ্টি রয়েছে। তাই এবার এগুলির ক্ষেত্রেও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে।বিশেষ করে কোচবিহার, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলার কাজ নিয়ে রাজ্য প্রশাসনেরও প্রশ্ন রয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর নিকাশি ব্যবস্থার প্রসঙ্গ তুলে ধরেও জেলাগুলির সঙ্গে বিশেষ পর্যালোচনামূলক বৈঠক করে। পঞ্চায়েত দপ্তর এক্ষেত্রেও “জিরো টলারেন্স নীতি” গ্রহণ করতে চায়।
স্যানিটেশনের যা কাজ হয়েছে তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট এখনই পেশ করতে বলা হয়েছে। জেলাগুলিকে এই ব্যাপারে কোনও সময় দিতে নারাজ। একই সঙ্গে প্রত্যেক জেলাকেই “সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের” জন্য ১৫ দিন অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ডিপিআর বা বিস্তারিত রিপোর্টে পেশ করতে বলা হয়েছে।