উপনির্বাচনে অনিশ্চয়তা! মমতার মুখ্যমন্ত্রীত্ব ঘিরে সংশয়, ৮ দফা যুক্তি প্রস্তুত পদ্ম শিবিরের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে মুখ্যমন্ত্রীত্বের। উপনির্বাচন নিয়ে কোনোরকম ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখাচ্ছেনা নির্বাচন কমিশন আর তাতেই ক্রমশ স্নায়ুর চাপ বাড়ছে তৃণমূলের।

এই পরিস্থিতিতে দ্রুত উপ নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল। অন্যদিকে শাসক দলকে চাপে ফেলতে মরিয়া বিজেপি। পদ্ম শিবির মনে করছে বর্তমান পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন সম্ভব নয়।

তাতে উল্লেখ করা হয়েছে ৮ টি কারণ। লিখিত আকারে সেই ৮ দফা যুক্তি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পাঠিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। উপনির্বাচনের বিরুদ্ধে বিজেপির মনোভাব প্রকট হওয়ায় যথেষ্ট চাপে শাসকদল।

রাজ্য নেতৃত্বে তরফের যে চিঠি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দেওয়া হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কথা। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে করোনা রুখতে বন্ধ লোকাল ট্রেন। বাস চলছে কম। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে পরিবহনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে অক্টোবর মাসে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানানো হয়েছে অক্টোবর মাসে দুর্গাপুজো সহ অন্যান্য উতসব রয়েছে। তাছাড়া রাজ্যজুড়ে এই মুহূর্তে কোভিড বিধি নিষেধ লাগু। বিরোধীর শিবিরকে যে কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

বিজেপি জানিয়েছে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করে দিন কয়েক আগেই একটি কর্মসূচি থেকে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, দেবশ্রী চৌধুরী সহ শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বদের গ্রেফতার করে পুলিশ। একইসঙ্গে ১২২ টি পৌরসভার নির্বাচন আটকে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

দ্রুত উপনির্বাচনের দাবিতে ফের চলতি সপ্তাহে কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল

বিজেপির যুক্তি, রাজ্যে যে সরকার চলছে তা পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। ৭ আসনে উপনির্বাচন না হলেও সরকারের সংকট প্রকট নয়। তাই এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে উপনির্বাচনের এখনই প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়েছে বিজেপি।

রাজনৈতিক মহলের মতে  সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকে রাজ্যে কোভিড সংক্রান্ত বিধি নিষেধ তুলে নিতে পারে সরকার। কারণ নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচন না করালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে সঙ্কট তৈরি হবে। ইস্তফা দেওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ সেক্ষেত্রে আর খোলা থাকবে না।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির এই ৮ দফা কারণ মূলত করোনা পরিস্থিতিতে শাসক দলকে প্যাঁচে ফেলতে প্রস্তুত করা হয়েছে। তাই ৩০ আগস্ট এর মধ্যেই করোনা সংক্রান্ত রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি।

সম্পর্কিত পোস্ট