হেস্টিংসের কার্যালয়ে শুরু বৈঠক, গরহাজির রাজীব-কৈলাশ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার রাজ্য কমিটির পূর্ণাঙ্গ বৈঠক। ইতিমধ্যেই হেস্টিংসের দলীয় কার্যালয়ে প্রায় সকলেই উপস্থিত হয়েছেন। তবে বৈঠকে গরহাজির রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, সায়ন্তন বসু, রাহুল সিনহা সহ রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা।

বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর দু’মাস কেটে গেলেও ভোটের ফল নিয়ে পর্যালোচনা কোনো বৈঠক ডাকেননি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বরা। ভোটের ফল বিশ্লেষণ থেকে শুরু করে বঙ্গভঙ্গ বিতর্ক এমনকি দলত্যাগ প্রসঙ্গও উঠে আসতে পারে এই বৈঠকে। এদিন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার পর থেকে বিজেপির একের পর কর্মসূচীর কথা জানানো হয়। রাজ্য সরকার সহ পুলিশ প্রশাসনের তরফে কোনো সহযোগীতা পাওয়া যাচ্ছে না বলেও এদিন মন্তব্য করেন তিনি।

বাড়াতে হবে ভাড়া, অন্যথায় মালিকদের একটা বড় অংশ রাস্তায় বাস নামানোর পক্ষপাতি নন

একুশের নির্বাচনে ভরাডুবির পর এটাই প্রথম বিশ্লেষণাত্মক বৈঠক। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল বিধানসভা ভোটে যে ২০০ আসনের টার্গেট রেখেছিল বিজেপি, ক্ষমতা দখলের বিষয়ে এক প্রকার আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল যারা, তাদের পরাজয়ের কারণ খুঁজতে এত দেরি কেন হল?

বিজেপির অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের আগে যেভাবে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আশার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। তা আঘাত হেনেছে পুরনো কর্মীদের মনোবলে। যদিও বিজেপির একটি অংশ নির্বাচনের ফলকে দলের বিপর্যয় বলে মেনে নিতে নারাজ।

তাদের স্পষ্ট বক্তব্য বিধানসভা আসন বেড়েছে অনেকটাই পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বিজেপি। তাই এটাকে পরাজয় বলা যাবে না। দিন কয়েক আগে বিজেপি তরফে জানানো হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সমমর্যাদা সংক্রান্ত একটি বিল পাশ হতে পারে আজকের বৈঠকে।

সম্পর্কিত পোস্ট