কেন্দ্রের জেদের কারণেই বাংলার কৃষকরা টাকা পাচ্ছেন না, প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা জবাব সৌগত রায়ের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রের জেদের কারণেই টাকা পাচ্ছেন না রাজ্যের কৃষকরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের সারবত্তা নেই। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শুক্রবার একথা স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতা, সাংসদ সৌগত রায়।

এদিন দেশের কৃষকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে বাংলার ৭০ লক্ষ কৃষক বছরে ৬ হাজার টাকার কেন্দ্রীয় সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

তাঁর কটাক্ষ, ‘পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের বঞ্চিত করে মমতা পঞ্জাবের কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করছেন!’ প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন দমদমের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রীর দাবি সর্বৈব মিথ্যা।’

এদিন অভিযোগের সুরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ বছর ধরে সরকার চালাচ্ছেন। রাজনৈতিক কারণেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করতে দিচ্ছে না। ৭০ লক্ষ কৃষক অনলাইনে কৃষকনিধি সম্মান প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন। আমার দুঃখ, যে সারা দেশে এই প্রকল্প চালু হয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গে তা চালু করা যাচ্ছে না।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরেই পাল্টা আক্রমণ করে সৌগত রায় বলেন, ‘কিসান নিধি প্রকল্পে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কেন্দ্রকে রাজ্যের কথা শুনতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজ্যকে এড়িয়ে কেন্দ্র নাক গলাতে চাইছে। রাজ্য সরকার বলেছিল কেন্দ্র কৃষকদের জন্য যে টাকা দেবে, তা রাজ্যের হাতে দিক। এটা খুব সহজ একটা দাবি ছিল। ওরা তা মেনে নিতে পারত। রাজ্য সরকারের অ্যাকাউন্টে টাকা দিলে রাজ্য সরকার তা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌছে দিত।’

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bengal-farmers-are-being-deprived-the-prime-minister-said-in-a-virtual-meeting/

উল্টে কেন্দ্রের বিরুদ্ধেই রাজনীতি করার অভিযোগ এনে তৃণমূল সাংসদ বলেছেন, ‘মোদিরা টাকা পাঠিয়ে সরাসরি রাজনৈতিক সুবিধা নেবেন, এটা কেন রাজ্য সরকার মেনে নেবে? তাই বাংলার কৃষকরা যদি কিসান সম্মাননিধির টাকা না পায়, তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার ও মোদি নিজে।

কেন্দ্রের জেদের জন্যই টাকা পাচ্ছেন না কৃষকরা।’ জাতীয় কৃষি ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে দমদমের সাংসদ বলেন, ‘মহারাষ্ট্র, কর্নাটকে কৃষকরা ব্যাপক হারে আত্মহত্যা করছেন। মোদি তার সমাধান করেননি। মূল বিষয় থেকে সরে যাচ্ছেন মোদি।

মোদি সরকার কৃষকদের সঙ্গে দীর্ঘ কথাবার্তা চালিয়ে আন্দোলন ভেঙে দিতে চাইছেন।’ মোদির দাবি, পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের বঞ্চিত করে মমতা পঞ্জাবের কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করছেন।

সৌগতর জবাব, ‘এ রাজ্যে কৃষকদের আয় তিনগুণ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের ৪৭ লক্ষ কৃষকের জন্য ২,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কেন্দ্রের কিসাননিধির চেয়ে বেশি টাকা পান রাজ্যের কৃষকরা। রাজ্যের কৃষকরা ভাল আছেন।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/coronas-new-strain-is-raising-fears-at-the-end-of-the-year-with-more-than-4000-people-returning-from-britain/

বাংলায় ১০ বছরে কোনও কৃষক আন্দোলন হয়নি।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আলু-পেঁয়াজ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাইরে রাখা হোক। নতুন কৃষি আইন কৃষিপণ্যের ব্যবসা তুলে দেব।

কৃষক-বিরোধী আইন গায়ের জোরে রাজ্যসভায় পাস করানো হয়েছে। এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ১১টি রাজনৈতিক দল মোদিকে চিঠিও লিখেছে।’

সম্পর্কিত পোস্ট