ধনকরকে ‘নৈরাজ্যপাল’ বলে কটাক্ষ ব্রাত্য বসুর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গান্ধিজয়ন্তীতেও রাজ্য – রাজ্যপাল সংঘাতে। এই দিনও জাতির জনক মহাত্মা গান্ধিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এবার তার পালটা জবাবও পেলেন।

ব্য়ারাকপুরের গান্ধিঘাটে সরকারি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের আক্রমণের কড়া জবাব দিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সরাসরি তাঁর আচরণের কারণে রাজ্যপালকে ‘নৈরাজ্যপাল’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি।

গান্ধিজয়ন্তীর সকালে চিরাচরিত নিয়ম মেনে বারাকপুরের গান্ধিঘাটের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। করোনা আবহে স্বভাবতই দূরত্ববিধি মেনে, যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে ছোট অনুষ্ঠান হয় এদিন। সেখানে সাধারণ দর্শকের প্রবেশও ছিল নিষিদ্ধ।

সাংবাদিকদেরও জন্যও জারি ছিল একগুচ্ছ বিধিনিষেধ। অনুষ্ঠান শেষে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধি অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর বিশ্বাসের মর্যাদা দেওয়া উচিত। দেশে কোনও নির্বাচনের আগে যে হিংসা শুরু হয়, তা মঙ্গলজনক নয়।’

তাঁর আরও বক্তব্য যে, রাজ্য সরকার সংবিধানকে অপমান করছে। রাজ্যপালকেও অপমান করা হচ্ছে। তার মানে রাজভবনেরও অপমান।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bihar-election-2020-election-date-publish-by-election-commission/

এদিন এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘উনি কী সব বলছেন ভাসা-ভাসা, ঘোলা-ঘোলো… কেন উনি এসব বলে ওনার নামের আগে একটা ‘নৈ’ বসাচ্ছেন। অনেকেই তো এও বলছেন উনি নাকি ‘নৈরাজ্যপাল’।

দমদমের বিধায়কের আরও দাবি, রাজ্যপালের আচরন রাজ্যপালসুলভ নয়। বরং ওনার কাজকর্মে মনে হচ্ছে তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র । এর আগেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রী।

প্রায়শয়ই ধনকরকে কড়া জবাব দিতে শোনা গিয়েছে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমকে। এবার সেই তালিকাতেই যুক্ত হলেন ব্রাত্য বসু। বুঝিয়ে দেওয়া গেল, মমতা সরকারের উদ্দেশে রাজ্যপালের কোনওরকম কটাক্ষের জবাব দেবেনই মন্ত্রীরা।

তবে ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্যে আবার পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, তৃণমূলের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাওয়ায় তাঁদের এমন মন্তব্য। এই আচরণ অসাংবিধানিক। মানুষ রাজ্যপালের পাশেই আছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট