করোনা আবহে রাজ্যে কর্মসংস্থানের দিশা দেখাবে বাংলা দাবী মুখ্যমন্ত্রীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার আবহের মধ্যেও শিল্প অন্বেষণ জারি হচ্ছে রাজ্যে। বাড়ছে কর্মসংস্থান। বৃহস্পতিবার ইনফোকম ২০২০-র উদ্বোধন করে এ কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার নবান্নে ভার্চুয়ালী এই বৈঠকের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রথম সারীর সমস্ত সংস্থাগুলি। বাংলায় বিনিয়োগের জন্য বৈঠকে উপস্থিত সমস্ত শিল্পপতিকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে রাজ্যে সংস্থাগুলির লাভ বেড়েছে ১০০ শতাংশের বেশী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলা প্রথম। এছাড়া ই-গর্ভনেন্স, ই-টেন্ডার, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে বাংলা দেশে ১ নম্বর। ক্ষুদ্রশিল্পের উপর আমরা নির্ভরশীল। রাজ্যে ১০ লক্ষ আইটি কর্মী রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলায় জিডিপি ২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন করে রাজ্য সরকার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিনিয়োগ করা হয়েছে টাটা কনসালটেন্সিতে। আগামী দিনে রাজ্যে সিলিকন ভ্যালি এবং আইটি হাব তৈরি হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আইটিসি, টিসিএস, ইনফোসিসের মতো সংস্থার মাধ্যমে এ রাজ্যে কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুনঃ একই মঞ্চে কুণাল ঘোষের সঙ্গে লক্ষণ শেঠ, রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা
করোনা মোকাবিলার জন্য সারা দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়। সেই সময় কর্মহীণ হয়ে পড়েন বহু মানুষ। বাংলাতেও কর্মসংস্থান বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই নতুন করে কর্মহীনদের জন্য নতুন পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে বলে দাবী মুখ্যমন্ত্রীর। এর ফলে ভিন রাজ্য থেকে আসা বহু মানুষ কাজ পাবেন বলে আশাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গে ৬৫ টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এবং ২০ টি বিজনেজ ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে অর্থনৈতিক হাব। এর ফলে তরুণ প্রজন্ম রাজ্যে থেকেই কাজের সুবিধা পাবেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এখন রাজ্যে বিনিয়োগ করতে চাইছে একাধিক সংস্থা । তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ বিশ্বে পরিচিতি পাচ্ছে। বাংলার শিল্প যা পারে, অন্যরা তা পারে না। করোনা-আবহে এই অনুষ্ঠান করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, বহিরাগত ইস্যুতেও এদিন নাম না করে ফের বিজেপিকে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ভ্যাক্সিন ছাড়াও করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজন নির্দিষ্ট পরিকল্পনার। কোনটা প্রয়োজন সেটা আগে বোঝা উচিত ছিল কেন্দ্রের। ইচ্ছে থাকলেই উপায় বের করা সম্ভব।