#Coronavirusনিজামুদ্দিন ছাড়াও রয়েছে ১০টি হটস্পট
তবে শুধু নিজামুদ্দিন নয়, দেশে এমন মোট ১০টি জায়গা আছে, যা কিনা করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ।
দ্য কোয়ারি ওয়েব ডেস্ক- করোনা ভাইরাসকে রুখতে বারবার সামাজিক দুরত্ব (Social Distance) বজায় রাখার আবেদন জানানো হচ্ছে ।
সরকারের প্রয়াশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ১৬ মার্চ নিজামুদ্দিনের ধর্মসভা করোনার আবহে মাথা ব্যাথার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
সময়ের সঙ্গে ক্রমশ তাল মলয়ে বাড়ছে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ।
এর মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের দেওয়া চাঞ্চল্যকর তথ্য ।
করোনা হটস্পট নিজামুদ্দিন
সেখানে বলা হচ্ছে গোটা দেশে নিজামুদ্দিনের ধর্মসভায় হাজির থাকা প্রায় ৪০০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ।
এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত তামিলনাড়ুতে । দক্ষিণ ভারতের রাজ্যটিতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তও হয়েছেন ১৯০ জন । আরেক রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৭১।
[ আরও পড়ুন : ধর্মীয় সমাবেশ থেকে ফেরা ব্যক্তিদের নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র-রাজ্য ]
দিল্লির সেই জমায়েত এখন দেশে COVID-19 আক্রান্তদের ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে ।
তবে শুধু নিজামুদ্দিন নয়, দেশে এমন মোট ১০টি জায়গা আছে, যা কিনা করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ।
জায়গাগুলিতে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে COVID-19 সংক্রমণ ।
করোনা হটস্পট নিজামুদ্দিন,এছাড়াও বাকি স্থানগুলি হল
উত্তরপ্রদেশ ,দিল্লি, কেরল এবং মহারাষ্ট্রে ২টি করে করোনা হটস্পট চিহ্নিত হয়েছে। গুজরাট এবং রাজস্থানে চিহ্নিত হয়েছে একটি করে ।
দিল্লিতে নিজামুদ্দিনের পাশাপাশি দিলশাদ বাগান এলাকা চিহ্নিত হয়েছে করোনার হটস্পট হিসেবে ।
দিল্লির এই অঞ্চলটিতে প্রথম অস্বাভাবিক সংক্রমণ শুরু হয়েছিল । উত্তরপ্রদেশের মীরাট এবং নয়ডাকে শনাক্ত করা হয়েছে হটস্পট হিসেবে।
নয়ডায় আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি । মহারাষ্ট্রের দুই জনবহুল শহর মুম্বই এবং পুনেকে চিহ্নিত করা হয়েছে ।
কেরলের কসরগড়এবং পাঠানমথিট্টা, এই দুই এলাকা করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ।
এছাড়া রাজাস্থানের ভিলওয়ারা এবং গুজরাটের আহমেদাবাদ চিহ্নিত হয়েছে করোনার হটস্পট হিসেবে ।
[ আরও পড়ুন : #Lockdown ত্রৈমাসিকের জন্য কমলো পিপিএফে সুদের হার ]
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে, চিহ্নিত এলাকাগুলিতে খুব দ্রুতহারে হচ্ছে Covid19 সংক্রমণ ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে আশঙ্কার মেঘ ক্রমশ ঘনাচ্ছে । বিশেষজ্ঞরাও এলাকাগুলি এড়িয়ে চলার পরামর্শও দিচ্ছেন ।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার । খুব কম সময়ের মধ্যে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি হয়েছে, যা মাথাব্যথা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত দেশে নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের ।
মহারাষ্ট্রে মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ । আক্রান্তের সংখ্যার নীরিখেও শীর্ষে এই রাজ্য ।