তিন রাজ্যে জোট হলেও কেরালায় লড়াই মুখোমুখি
বিহারের পর রয়েছে তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে প্রত্যাশিত জোটের প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিলি সিপি(আই)এমের কেন্দ্রীয় কমিটি।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিহারের পর রয়েছে তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে প্রত্যাশিত জোটের প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিলি সিপি(আই)এমের কেন্দ্রীয় কমিটি। যদিও দলের এই প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেননি বেশ কিছু নেতা। জোটের প্রসঙ্গে ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ না করে বরং এড়িয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
৩০ এবং ৩১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়। এর আগে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিষয়ে সায় দিয়েছিল পলিটব্যুরো। শনিবার কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলায় তৃণমূল, বিজেপি বাদ দিয়ে কংগ্রেস সহ সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির সঙ্গে একজোট হয়ে লড়বে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। পাশাপাশি আগামী বছর তামিলনাড়ু এবং অসমেও কংগ্রেস সহ ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে জোট করেই লড়াই করবে সিপিএম।
তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-কে সামনে রেখেই লড়াই করবে সিপি(আই)এম। অসমের কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের হাত এক করবে তাঁরা। তবে কেরলে সিপিএমের মূল লড়াই হবে কংগ্রেসের সঙ্গেই। সেখানে বিন্দুমাত্র সমঝোতা হবেনা। সাফ বার্তা কেন্দ্রীয় কমিটির।
ভিন রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে কেরলের নেতারাও। যদিও এবিষয়ে বিরোধিতা করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ এলামারম করিম, তেলেঙ্গানার জি নাগাইয়া সহ বেশ কিছু নেতৃত্ব। সিপিএমের অন্দরের খবর ৮ জন সদস্য জোটের পক্ষে কোনঅ মত প্রকাশ করেননি।
সূত্রের খবর, গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার কারণে বেজায় চটেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং পলিটব্যুরো সদস্যরা। তাই ২১ এর আগে আগেভাগে জল মেপে মাঠে নামতে চাইছেন নেতারা।
যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে আসার পর থেকেই জোটের পক্ষে বার্তা দিয়ে আসছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। শনিবারের বৈঠকের পর বাংলার ময়দানে ঘুটি সাজাতে একটু সুবিধাই হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তবে কেরলে জোট ভঙ্গের বিষয়ে সিপি(আই)এমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, রাজ্যভিত্তিক পরিস্থিতি আলাদা হওয়ার কারণেই জোট করতে হয়েছে। একসময় বাংলায় বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে লড়াই ছিল। এখন তা মিটিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন তাঁরা। যদিও এবিষয়ে এখনও অবধি পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেসের তরফে পূর্ণ সমর্থন মেলেনি।
সূত্রের খবর, এবারের জোটের প্রসঙ্গে বিরোধিতা করেনি কারাট শিবির। কারণ, গত কয়েক নির্বাচনে সিপি(আই)এম এবং কংগ্রেসের লড়াইয়ে আখেরে লাভ বিজেপির হয়েছে। তাই এবার বিজেপিকে জায়গা ছেড়ে দিতে চাইছেন না কেউই। যদিও এতে দলের বিশেষ কিছু ফায়দা হবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে বাংলার দারিয়ে বাম-কংগ্রেসের জোট ২১ এর নির্বাচনে আলিমুদ্দিনকে কতটা অক্সিজেন দেয় সেটাই দেখার।