#BGM:ছক্কার লক্ষ্যে ব্যাট হাতে মমতা, শুরু হল তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট

পুরসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মেগা প্রচার শুরু করল ঘাসফুল শিবির। নতুন ইভেন্টের নাম দেওয়া হয়েছে "বাংলার গর্ব মমতা"।

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবিবার শহীদ মিনারে এসে বাংলাজুড়ে “আর নয় অন্যায়” প্রচার অভিযানের ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট

একইভাবে আগামী পুরসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মেগা প্রচার শুরু করল ঘাসফুল শিবির। নতুন ইভেন্টের নাম দেওয়া হয়েছে “বাংলার গর্ব মমতা”।

তৃণমূলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের কাছে স্পষ্ট ছিল তৃণমূলের মুখ মমতাই।

তাই লোকসভা নির্বাচনের পর যখন “দিদিকে বলো” কর্মসুচীর মাধ্যমে হারানো মাটি ফিরে পাচ্ছিল তৃণমূল।

ঠিক তখনই নতুন ইভেন্ট “বাংলার গর্ব মমতা”র ডাক দিলেন তিনি। 

সোমবার এবিষয়ে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে এবং নতুন ইভেন্টের কথা বুথ স্তরের কর্মীদের ভালো করে বোঝানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো।

দলীয় কর্মীদের ভালো করে বুঝিয়ে দিলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে নম্র ব্যবহার করে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে হবে। 

রবিবার শহীদ মিনারে সভা করতে এসে দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

কিন্তু সোমবার নেতাজী ইন্ডোরে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার শুরুতেই দিল্লির হিংসামুলক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দলীয় কর্মীদের নিয়ে নিরাবতা পালন করেন তিনি। 

রবিবার অমিত শাহের সভার আগে কলকাতার বুকে শোনা যায় “দেশ কে গদ্দার কো, গোলি মারো…” স্লোগান।

এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন দিল্লির মাটিতে এই স্লোগান দিয়ে পার পেয়ে গেলেও বাংলায় যারা এই স্লোগান দেবে তাঁরা পার পাবে না।

ঘটনায় জড়িত তিনজনকে এখনও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবী করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন : শহিদ মিনারে অমিত শাহ

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “টিভিতে বা খবরের কাগজের ছবি দেখে দোষীদের শনাক্ত করতে পারলেই পুলিশকে ফোনে জানান। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না”। 

এধরনের স্লোগান প্ররোচনামূলক, দানবিক বলে দাবী করেন তিনি। একইসঙ্গে দিল্লির ঘটনাকে “পরিকল্পিত গণহত্যা” বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 

দিল্লির হিংসার ঘটনায় অনেকেই ঘরছাড়া। আশঙ্কায় ভুগছেন অনেকেই।

সোমবার দুর্গতদের পাশে থাকার জন্য রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক-ও-ব্রায়েন এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

পাশপাশি হিংসার কারণে যারা দিল্লি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছেন, তাঁদের জন্য বাংলার দরজা খোলা রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। 

রবিবার শহীদ মিনারের মঞ্চ থেকে বিধানসভায় প্রায় দুই তৃতীয়াংশ আসনের দাবী করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট, ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে বাম-কংগ্রেস

সোমবার পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি চাইছে তৃণমূলের আসন গুলো দখল করতে।

বাকি আসন বাম এবং কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে দিতে চাইছে। লোকসভায় বাম কংগ্রেসের জন্যই বিজেপি বাংলা থেকে ১৮ আসন পেয়েছে।

এমনটাই দাবী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে বাম-কংগ্রেস, কটাক্ষ তৃণমূল সুপ্রিমোর । 

যদিও তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখনও রয়েছে এটা আবারও প্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

কর্মীসভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, নতুন পুরাতন সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

যারা পুরাতন রয়েছেন তাঁদেরকে নতুন করে দলে এনে কাজ করতে হবে। দলের মধ্যে কোনও লবি আনলে চলবে না।

আরও পড়ুন : মেট্রো নিয়ে টানাটানি, আসরে বাম-বিজেপি-তৃণমূল

উদাহরণ হিসাবে মালদহের কথা তুলে ধরলেন তিনি। সকলকে নিয়ে কাজ করলে তবেই টিকিট মিলবে, জানান মুখ্যমন্ত্রী। 

শিয়রে পুরসভা নির্বাচন। তারপরেই বিধানসভা। কর্পোরেট ধাঁচে প্রচারে নেমছে তৃণমূল-বিজেপি।

নির্বাচনী প্রচারে কোন ইভেন্ট সুপারহিট হয়? সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।

কারণ বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পরেই জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির ভবিষ্যৎ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট