Bidhannagar Municipal Election: ঘরে ফেরার পুরস্কার, ‘মেয়র সব্যসাচী’-ভরসা অটুট তৃণমূলের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মুকুল রায়ের পরামর্শেই ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম হাতে তুলে নিয়েছিলেন বিধানগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। বাঙালীর চিরাচরিত পছন্দের খাবার লুচি-আলুদম সহযোগে সব্যসাচীর আকস্মিক দলবদলে হতবাক হয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহল।

এরপর একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সুজিত বসুর বিপরীতে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। পরাজিত হন। শুধু তাই নয়, ব্যপক ভাবে পর্যদস্তু হয় গেরুয়া শিবির। নিস্ক্রিয় সব্যসাচীর সঙ্গে বাড়তে থাকে পদ্মের যোগাযোগ। ফের ৭ অক্টোবর তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে ফিরে আসেন তৃণমূলে।

২২ জানুয়ারী শিলিগুড়ি, বিধাননগর, আসানসোল, চন্দনগরে পুরভোট। প্রার্থীতালিকা বৃহস্পতিবার রাতেই প্রকাশ করেছে শাসক শিবির। এদিন জানা গিয়েছে, এবার তৃণমূলের টিকিটে বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়বেন সব্যসাচী। এদিকে সব্যসাচীর একসময়ের ডেপুটি তথা বিধাননগরের বিদায়ী পুর প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী লড়ছেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে।

Siliguri Municipal Election: পছন্দ নয় প্রার্থী তালিকা, ফুঁসছে ঘাসফুল শিবির

এখবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে বিধাননগরের ‘হাই ভোল্টেজ’ ভোটের দিকে নজর রয়েছে সকলেরই। যদিও প্রার্থী হতে পেরে আপ্লুত সব্যসাচী দত্ত। তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এদিনই গেরুয়া শিবিরকে তোপ দাগেন সব্যসাচী। বলেন, “বিরোধী আছে নাকি রাজ্যে ! তৃণমূল প্রতিটি ওয়ার্ডে জয়ী। এখন ব্যবধান কতভোটের হয় সেদিকেই নজর রয়েছে আমাদের।” তিনি আরও বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলাম। হেরেও গিয়েছিলাম। তবে আমি এখনও বলতে পারি, ব্যক্তি আমি হারিনি, মমতাদির ছবির বিরুদ্ধে লড়তে পারিনি।”

প্রসঙ্গত, সব্যসাচী দত্তকে দলে ফিরিয়ে এনে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়ায় অবাক হয়েছেন রাজনৈতিক মহলের। পাশাপাশি অবাক হয়েছেন হেভিওয়েট নেতা ও বিধাননগরের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নাম বাদ পড়ায়। যদিও টিকিট পেয়েছেন তাঁর মেয়ে আরাত্রিকা ভট্টাচার্য।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সব্যসাচী দত্তকে তালিকায় রেখে তাপস চট্টোপাধ্যায়কে বাদ দিয়ে তাঁর মেয়েকে প্রার্থী করা তৃণমূলের নয়া চাল। এতে উভয়ের মধ্যে যে ঠান্ডা লড়াই ছিল তাও প্রশমন করা সম্ভব হল। পাশাপাশি তৃণমূলের এই চাল জল্পনা উস্কে দিল। হয়ত ফের বিধাননগরের মেয়র হিসাবে সব্যসাচীতেই ফের ভরসা রাখতে চলেছে মমতা-ব্রিগেড।

সম্পর্কিত পোস্ট