BiharElection2020: নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হলেও, আসন বণ্টন নিয়ে দ্বন্দ্ব অব্যাহত

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করে দিয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এখনও অবধি আসন বন্টন নিয়ে বিবাদ মেটেনি বিরোধী পক্ষের।

বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে ৬০ টির বেশী আসন দিতে নারাজ লালু প্রসাদ যাদবের দল। যদিও কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে ৭০ টি আসনে লড়তে চায় তাঁরা।

অন্যদিকে সিপিআই(এম এল) এর জন্য ১৫ টি আসন বরাদ্দ করেছে আরজেডি। কিন্তু তার আগেই ৩০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তাঁরা।

সিপিআই(এমএল) এর রাজ্য সম্পাদক কুমার পারভেজ জানিয়েছেন, আরজেডির তরফে বরাদ্দ করা আসনে লড়তে রাজি নন তাঁরা। আমরা আরও বেশী সংখ্যক আসনে লড়াই করতে চাই। আমরা ৩০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে।

এবিষয়ে আরজেডি ফাইনাল কল নিক। নির্বাচনের আগেই আসন বন্টন নিয়ে ঠান্ডা লড়াই বিরোধী শিবিরে উত্তাপ বাড়িয়েছে।

আরজেডি সূত্রের খবর, বিহারের রাজনৈতিক আবহাওয়ার পুর্বাভাস যা, তাতে নির্বাচনের পর পরিস্থিতি বুঝে নীতিশ কুমারের সঙ্গে জোট করতে পারে কংগ্রেস।

কোনওভাবেই সেই উদ্দেশ্য যাতে না সফল হয় সেকারণেই কংগ্রেসের জন্য ৬০ টি আসম বরাদ্দ করতে চাইছেন তেজস্বী যাদব। ছোট দলগুলির কাছে দলবদলে সুবিধাও থাকে।

তবে আসন বন্টনের ক্ষেত্রে বিহার কংগ্রেসের মুখপাত্র রাজেশ রাঠোরের কিছুটা ইঙ্গিতে জানিয়েছেন, কংগ্রেস ৭০ টি আসনেই লড়বে। সমঝোতার ক্ষেত্রে দুই দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরজেডি সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনে ১৫০ এর অধিক আসনে লড়াই করতে চায় আরজেডি। তিনটি বাম দল এবং জেএমএমের জন্য ২৫ টি আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।

এই লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই বিকাশশীল ইনসান পার্টি। আসন বন্টনের লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বেশী আসনে লড়তে চায় তাঁরাও।
আসন বন্টন নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় বিরোধী জোট থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জীতেন রাম মাঞ্জির দল। সরে গিয়েছে আরএসএলপিও।

আরজেডির একাংশের মতে, আসন বন্টন নিয়ে সমঝোতা না হলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের ভোট কমতে পারে। সেক্ষেত্রে ভোট কাটাকুটির খেলায় ফায়দা তুলতে পারে নীতিশ কুমার এবং বিজেপি। কোনওভাবেই তা যাতে না সম্ভব হয়, সেকারণেই আগে থেকে তোড়জোড় শুরু করেছে বিরোধী পক্ষ।

এই মুহুর্তে বিধানসভায় আরজেডির দখলে রয়েছে ৮১টি আসন। সম্প্রতি বিহারের কৃষক আন্দোলনে পথে নেমে আন্দোলন করছেন লালু পুত্র তেজস্বী যাদব।

উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ঘটনাকে সামনে রেখে লড়াই করছে কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি। মাস ফুরোলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মাথার ওপর কালো মেঘ সরাতে না পারলে বিপদ রয়েছে বিরোধীদের জন্য।

সম্পর্কিত পোস্ট