নির্বাচনের আগে ঠান্ডা লড়াই এনডিএ শিবিরে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সমস্ত জল্পনা বাদ দিলে এই মুহুর্তে বিহার বিধানসভার নির্বাচন আলোচনার কেন্দ্রস্থলে রয়েছে। আর বিহার বিধানসভার সর্বপেক্ষা আলোচিত বিষয় হল এনডিএ জোট।
এনডির নতুন শরীক জীতেন রাম মাঞ্জির দল নীতিশ কুমারের পাশে দাঁড়াতেই আসন বন্টন নিয়ে দোলাচল শুরু হয়েছে।
কিছুদিন আগে সংসদীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসোয়ান। সেখানে ঠিক হয় দরকার পড়লে একাই ১৪৩ টি আসনে লড়াই করবে লোকদল জনশক্তি পার্টি।
যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জলঘোলা শুরু হয়েছে। কারণ বিহারের নির্বাচনে দলিত ভোট বিরাট ফ্যাক্টর। সেখানে দলিত নেতা জিতেন রাম মাঞ্জি এনডিএ শরিক হওয়াতে চাপ বেড়েছে লজপার।
কারণ বিহারে ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে দলিত ভোটকে সামনে রেখে নির্বাচনী লড়াই লড়েছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। কিন্তু লালু এবং রাবরী দেবীর মুখ্যমন্ত্রী আমলে যাদবরা বেশী প্রাধান্য পাওয়ায় দলিতরা দোর্দণ্ডপ্রতাপ লালুর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
সেখান থেকেই দলিতদের অন্যতম মুখ হিসাবে উঠে আসে রামবিলাস পাসোয়ান। ২০০০ সালে লোকদল জনশক্তি পার্টি দলিতদের রাজনৈতিক মুখ হিসাবে বেড়ে ওঠে।
বিহারের ১৭ শতাংশ দলিতদের বিপুল ভোট পেয়ে লোকসভা লোড়াই শুরু করেন পাসোয়ান। পরে এই দলিত ভোটকে ব্যবহার করে উঠে আসেন নীতিশ কুমার।
ফলে লজপার ভোট ব্যাঙ্কে বদল দেখা দেয়। ২০১৪ এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে লজপা জিতলেও ২০১৫ সালে দলিত ভোটে মাস্টারমাইন্ড হন নীতিশ। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন তিনি৷ পরে অবশ্য দল বদল করে এনডিএতে চলে যান।
চলতি বছরের শুরু থেকেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারে জোর দেন লজপা প্রধান চিরাগ পাসোয়ান। নীতিশ কুমারের বিকল্প মুখ্যমন্ত্রী পদের লড়াই জারি রেখে নীতিশ সরকারের একাধিক গাফিলতির কথা তুলে ধরেন তিনি। কোভিড পর্বে ব্যক্তিগতভাবে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশকে আক্রমণ করতে পিছপা হননি তিনি।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/sujan-chakraborty-now-home-qurentaine/
গত ১৫ বছরে বিহার নীতিশ কুমারের সরকারে বিহারে কোনও বদল আসেনি। যুব সম্প্রদায়ের কাছে প্রচার করেন চিরাগ। তাতেই খানিকটা পায়ের তলার মাটি সরে যায় জেডিইউয়ের। শুধুমাত্র দলিত ভোট নয়, মুসলিম ভোটকেও কাছে টানতেও নিজস্ব স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করেন চিরাগ।
চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে সম সংখ্যক আসনে লড়তে চায় জেডিইউ এবং বিজেপি। তার ওপর এনডিএ শিবিরে হামের প্রবেশ আসন সংখ্যা কমাতে পারে লজপার। তাই একলা চলরে ডাক দিয়েই ১৪৩ টি আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাসোয়ান দল।
চিরাগ পাসোয়ান জানিয়েছেন, বিহারে কে কত আসনে লড়াই করবে তা একমাত্র জেডিইউ ঠিক করবে না। এতেই বিহার এনডিএ শিবিরের উত্তপ্ত আগুনে ঘি এর ছিটে পড়েছে। কয়েকদিন আগে নির্বাচনী প্রচারে জিতেন রাম মাঞ্জির একটি পোস্টারে দেখা যায় “প্রথম বিহার নীতিশ কুমার”।
যা অনেকটা লজপার মতো হলেও পোস্টারে পাসোয়ান শিবিরের কারোর ছবি অথবা নাম উল্লেখ নেই। এর থেকেই অনেকটা পরিস্কার হয় এবারের বিধানসভার লড়াইয়ে লজপা ছাড়াই লড়তে চায় জেডিইউ-হাম-বিজেপি।
যদি এনডিএর থেকে আলাদা করে লড়াই করে লজপা তাহলে রামবিলাস পাসোয়ানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রক থাকবে তো? নাকি বাবার মন্ত্রীপদ খোয়ানোর আশঙ্কায় সুর নরম করতে হবে চিরাগকে? নির্বাচনী ঘন্টা বাজার আগেই কালো মেঘ বিহারের এনডিএ শিবিরে।