পাল্টাচ্ছে পাশা, মহাজোটকে পিছনে ফেলে এগিয়ে এনডিএ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ খুব বিকোচ্ছে লাড্ডু। সরকার কে গঠন করবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। কিন্তু দুই পক্ষের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ফায়দা তুলছে লাড্ডু। তবে এ লাড্ডু দিল্লির নয়, বিহারের। কারণ বুথ ফফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী সকাল থেকে সব কিছু মিলে যাচ্ছিল। এগিয়ে ছিল মহাজোট। কিন্তু সময় যতই এগোতে থাকে ততই অঙ্ক বদলাতে শুরু করেছে। এই মুহুর্তে ১১৯ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। ১০০ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে আরজেডি নেতৃত্বাধীন মহাজোট। কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী জল মাপছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী এই মুহুর্তে ৬১ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি, ৫১ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে জেডিইউ, ৬ টি আসনে এগিয়ে বিকাশশীল ইনসান পার্টি এবং ১ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে হিন্দুস্থানী আওয়ামী মোর্চা।

অন্যদিকে, ৬২ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে আরজেডি, ২০ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস, ১৮ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বামেরা।

তৃতীয় ফ্যাক্টর এলজেপি এগিয়ে রয়েছে ৫ টি আসনে। অন্যান্যরা এগিয়ে রয়েছে ৪ টি আসনে।

পাশা বদলের ঘটনা বিহারের জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১৫ সালে শুরু থেকে এনডিএ শিবির এগিয়ে থাকলেও শেষ বেলায় জয় হয় মহাজোটের। যদিও সেবার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন নীতিশ কুমার। এবার তিনি এনডিএ শিবিরে। তাই বদলের হাওয়া বিহারের মাটিতে আসবে এটা আন্দাজ করাই যাচ্ছিল। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর বিহারের নির্বাচনী গণনায় কি হবে এখনই বলা সম্ভব নয়।

এবারের বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে আকর্ষণীয় কেন্দ্র ছিল বাঁকিপুর। কারণ, ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী ছিলেন প্লুরালস দলের পুষ্পম প্রিয়া চৌধুরী। যিনি নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বলে দাবী করছিলেন। সেই কেন্দ্রে শুরু থেকে কংগ্রেস প্রার্থী লাব সিনহা এগিয়ে থাকলেও এই মুহূর্তে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী নীতিন নবীন।

মহামারীর সময় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা হতে চলেছে মঙ্গলবার। লকডাউন,পরিযায়ী শ্রমিক, স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা এবং বেকারত্ব সহ একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে মুখোমুখি লড়াই এবারের নির্বাচনে। সেইসঙ্গে রয়েছে বিহারের বন্যা দুর্গত এলাকাগুলির দুর্বল পরিকাঠামো । এই সমস্ত ইস্যুগুলিকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনী ময়দানে লড়াই করছেন তেজস্বী যাদব। সেইসঙ্গে বিহারের ‘নল জল যোজনা’ কারণে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেই কথাও তুলে ধরেন মহাজোটের প্রচারকরা।

অন্যদিকে বিহারে গত ১৫ বছরের ‘সুশাসন’-এর কথা উল্লেখ করে এবারের নির্বাচনে প্রচার করছেন এনডিএ শিবিরের নেতারা। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতিশ কুমারকে রেখেই লিটমাস টেস্টকরাতে চাইছে বিজেপি। কারণ, পাটনা এবং তার আশেপাশে আরজেডি প্রার্থী তেজস্বী যাদবের ছবি দেখা গেলেও, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নীতিশ কুমারের ছবি সেভাবে দেখা যায়নি। পাশাপাশি এনডিএ শিবিরের অন্যতম শরিক লজপা প্রধান চিরাগ পাসোয়ান এবারের নির্বাচনে সরাসরি নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে বিহার নির্বাচনের মাধ্যমে পুর্ব ভারতের রাজনৈতিক অবস্থান মেপে নিতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

বিহার নির্বাচনে এবার বিশেষ নজর থাকবে বামপন্থী দলগুলি। উল্লেখযোগ্য ফলাফল আসতে পারে সিপিআই(এম এল) এর কাছ থেকে।

সব মিলিয়ে, বিহারে পাল্লাভারী কার তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।

সম্পর্কিত পোস্ট