কে হবেন বিহারের উত্তরসূরি? চলছে গণনা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিহারের রাজনীতিতে নতুন মুখ্যমন্ত্রী? নাকি লজপাহীণ এনডিএ শিবিরের ভোটে নীতিশ কুমারের প্রত্যাবর্তন? মহামারীর মধ্যেই পড়শি রাজ্যের ভোট গণনার দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।
মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে ২৪৩ টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী এবার পাল্লাভারী মহাজোটের। সকাল থেকে ব্যালট ভোটে এগিয়ে আরজেডি-কংরেস-বামেদের জোট। কিন্তু এত সহজে জমি ছেড়ে দিতে রাজি নয় জেডিইউ-বিজেপি-হাম-ভিআইপির এনডিএ জোট। তবে বিহারেও উল্লেখযোগ্য ফলাফল করে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই রাঘোপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব।
মহামারীর পর দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা হতে চলেছে মঙ্গলবার। লকডাউন,পরিযায়ী শ্রমিক, স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা এবং বেকারত্ব ইস্যু নিয়ে মুখোমুখি লড়াই এবারের নির্বাচনে। সেইসঙ্গে রয়েছে বিহারের বন্যা দুর্গত এলাকাগুলির পরিকাঠামো ব্যবস্থাও। আর এই সমস্ত ইস্যুগুলিকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনী ময়দানে লড়াই করছেন তেজস্বী যাদব। সেইসঙ্গে বিহারের ‘নল জল যোজনা’ কারণে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেই কথাও তুলে ধরেন মহাজোটের প্রচারকরা।
অন্যদিকে বিহারে গত ১৫ বছরের ‘সুশাসন’-এর কথা উল্লেখ্য করে এবারের নির্বাচনে প্রচার করছেন এনডিএ শিবিরের নেতারা। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতিশ কুমারকে রেখেই লিটমাস টেস্টকরাতে চাইছে বিজেপি। কারণ, পাটনা এবং তার আশেপাশে আরজেডি প্রার্থী তেজস্বী যাদবের ছবি দেখা গেলেও, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নীতিশ কুমারের ছবি সেভাবে দেখা যায়নি। পাশাপাশি এনডিএ শিবিরের অন্যতম শরিক লজপা প্রধান চিরাগ পাসোয়ান এবারের নির্বাচনে সরাসরি নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যদিও এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হল, এবারের নির্বাচনে বর্ষীয়ান নেতা লালু প্রসাদ যাদব এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর ছবি ছাড়াই প্রচারে নেমেছে আরজেডি। কনিষ্ঠতম ‘ভাবী মুখ্যমন্ত্রী’র সমর্থনে সোমবার থেকেই বিহারের একাধিক জায়গায় হোর্ডিং পড়তে দেখা গিয়েছে। এবারের নির্বাচনে তেজস্বীর মুখ মহাজোটের নতুন ভোট দখলের জন্য ট্রাম্প কার্ড হিসাবে কাজ করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিহারের জাত-পাতের ভোট অঙ্ক বদলে এবারের নির্বাচনে বেকারত্ব ইস্যুতেই বাজিমাত করতে পারেন তেজস্বী।
বিহার নির্বাচনে এবার বিশেষ নজর থাকবে বামপন্থী দলগুলি। উল্লেখযোগ্য ফলাফল আসতে পারে সিপিআই(এম এল) এর কাছ থেকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিহারের দলিত ভোট ব্যাঙ্কের জন্য বারবার নজর থাকে বামপন্থী দলটির। এবারের নির্বাচনে সিপিআই(এম এল)-কে মহাজোটের অংশ করে তেজস্বী বিরাট বাজি মারতে চলেছে। সম্প্রতি তেজস্বী শিবির থেকে দেওয়া ছেড়ে যাওয়া হিন্দুস্থানী আওয়ামী মোর্চার তুলনায় কতটা এফেক্টিভ হবে বামপন্থীরা? একইসঙ্গে পড়শি রাজ্যে নির্বাচনী ময়দানে বাম দলের পরিবর্তনের হাওয়া বাংলাকে পজিটিভ এফেক্ট দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।