আসন বন্টন নিয়ে জেরবার কংগ্রেস-আরজেডি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ছোট দলের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে কোন সমীকরণে লড়াই হবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুজে বেড়াচ্ছে আরজেডি এবং কংগ্রেস।

শুক্রবার দলীয় কমিটিতে ঝাড়পোঁছ করে নতুন করে প্রচারে নামতে চাইছে কংগ্রেস। একেবারে জেলাস্তরে ভার্চুয়াল র‍্যালির মাধ্যমে জনপ্রিয়তা ফেরাতে মরিয়া দেশের সবচেয়ে পুরাতন দল। কিন্তু কোন আসনে কোন প্রার্থী লড়বে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।

তার ওপর উপেন্দ্র খুশওয়াহার আরএসএলপি এবং মুকেশ সাহানির বিকাশ শীল ইনসান পার্টি লড়াইয়ের সমীকরণ কি হবে, তা ঠিক করে উঠতে পারেনি অবিজেপি দলগুলি।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, বিহারের নির্বাচনে ছোট দলগুলিকে আসন দিতে নারাজ লালু যাদবের দল। বরং আরজেডির তরফে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বলা হয়েছে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ক্ষেত্রে ছোট দলগুলিকে কংগ্রেস অথবা আরজেডির চিহ্নে লড়াই করতে হবে।

আরজেডির এই প্রস্তাবে সহমত পোষন করেছে কংগ্রেসের একাংশ। তাঁদের মতে, বিহারের একটি বিধানসভাতে সব ধরনের জাতি ভোট আদায়ের ক্ষেত্রে ছোট দলগুলি কমজুরি হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে ফায়দা তুলতে পারে এনডিএ।

বিহারে জোটের সমীকরণে ৭০ টি আসনে লড়াই করবে কংগ্রেস। বাম দলগুলি লড়বে ৩ টি আসনে। ভার্চুয়াল র‍্যালি শুরু হলেও, কোন আসনে কোন দল লড়াই করবে তা স্পষ্ট না হওয়া অবধি মাঠে নামতে রাজি হচ্ছেন না অনেকেই। এমনকি ছোট দলগুলির ভবিষ্যত কি সেটাও স্পষ্ট নয়।

নির্বাচনের ঘন্টা বাজার আগেই আসন বন্টন নিয়ে শুরু হয়েছে ঠান্ডা লড়াই। সূত্রের খবর, আসন্ন বিধানসভায় ২৫ থেকে ৩০ টি আসনে লড়তে চায় ভিআইপি। সেইসঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ চায় তাঁরা।

অন্যদিকে, আরএসএলপির তরফে জানানো হয়েছে ভিআইপির থেকে বড় দল তাঁরা। তাই আরও বেশী আসনে লড়তে চায় উপেন্দ্র খুশওয়াহার দল।

রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি এবং অন্যান্য দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেস, আর জেডি এবং বাম দলগুলি কঠিন লড়াই দিলেও পিছিয়ে পড়তে পারে ছোটদলগুলি। সেক্ষেত্রে নির্বাচন পরবর্তী জোট নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে পারে বড় দলগুলি।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/5-men-missing-from-arunachal-pradesh-to-be-handed-over-by-china-today/

ইতিমধ্যেই জীতেন রাম মাঞ্জি আহম দল এই জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে অন্যান্য দলগুলিকে। বেশ কিছু জায়গায় ভিন্ন জাতির ভোট আদায়ের ক্ষেত্রে ছোট দলগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।

কংগ্রেসের একাংশের মতে, বিষয়টি জটিল হলেও, এবিষয়ে আরএসএলপি এবং ভিআইপি সহমত থাকলেই নীতিশ কুমারের জন্য বিহার বিধানসভা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।

পাশাপাশি আরজেডির মতে, বেশ কিছু বিধানসভা এলাকায় উঁচু জাতির ভোট রয়েছে। সেই ভোট হাতের বাইরে চলে গেলে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হবে জোটকে।

সম্পর্কিত পোস্ট