Bimal Gurung on GTA election: জিটিএ নির্বাচন নিয়ে নারাজ, বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন গুরুং
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জিটিএ নির্বাচন কাছে আসতেই বিমল গুরুং বেঁকে বসলেন। সূত্রের খবর, খুব সম্ভবত বিমল গুরুং বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে শুধু জিটিএ ভোট নয়, পাহাড়ের স্থায়ী সমাধানের দাবি তারা চান। দাবি না মানলে তিনি অনশনে বসবেন। একুশের ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তিনি পাহাড়ে ফিরেছিলেন।
Bimal Gurung on GTA Election : অশান্তির কালো মেঘ পাহাড়ে, অনশনের হুঁশিয়ারি গুরুংয়ের
তারপর হঠাৎ এই বেসুরো মনোভাব কেন? মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় নিয়ে উদাসীনতা বিমল গুরুংয়ের মনে চাপানউতোর সৃষ্টি করেছিল। তাই কোন রকম জিটিএ নির্বাচন (GTA election) তিনি চাইছেন না।পাহাড়ের সমস্যা সমাধানের দাবিতে ২ এপ্রিল তিনি একটি আলোচনা সভা ডেকেছেন। এই আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তকে। সঙ্গে অনীক থাপার প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা(Gorkha janmukti Morcha) , অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টিকেও আমন্ত্রিত করা হয়েছে।বিজেপির সংসদ তা সমর্থন করার পরেই বিমল গুরুংয়ের বিজেপি যোগ দেওয়ার ঘটনার জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
বুধবার দুপুরে দার্জিলিংয়ের লাগোয়া এলাকায় মালিধূরার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্কুলের মাঠে নারীর মোর্চার সভা আয়োজিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন রোশন গিরি এবং বিমল গুরুং। গুরুং সেখানে বক্তব্য রাখেন, ” পাহাড়ে আমি ছিলাম না, স্বভিমান বজায় ছিল। মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন যে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান করবেন। জিটিএ চেয়ারে লোভে আমরা আসিনি। প্রয়োজনে আমরা অনশনে বসবো। তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের এই সমস্যা শুধু পাহাড়ের নয়, কেন্দ্র ও রাজ্য দুজনেরই। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন পাহাড়ে রাজনীতিতে নতুন মোড় আসতে চলেছে।
কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, “দুই ভোটে হারের পরে গুরুং নিজস্ব হাতে তৈরি জিটিএ তে পরাজয়ের মুখ দেখতে চাইছেন না।” আবার কিছু পক্ষ বলছেন গুরুং এর দলের সংগঠক প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, হামরো পার্টির (Hamro party) চাপে প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। সেখানে নিজের দলের প্রাসঙ্গিকতা বাড়াতে গুরুং এ কাজ করছেন।” এদিকে মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট তৎপর। তার এই তৎপরতার বিরোধিতা করেছে মোর্চা। রোশন গিরি সহ মোর্চার আরো কিছু নেতা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই বিরোধিতা জানিয়েছেন।
রোশন গিরি এই কাজের মধ্যেই বিমল গুরুংয়ের বিজেপি যোগ দেওয়ার সূত্র লুকিয়ে রয়েছে। একুশের ভোটের বহু আগে থেকেই পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। এদিকে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য উত্তরবঙ্গের বিজেপির সাংসদরা পৃথক রাজ্যের দাবি করেছিলেন। ২ এপ্রিলে আয়োজিত কনভেনশনে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠতা বাড়তে চলেছে বলেই সূত্রের খবর। রাজ্য বিস্তের সাহায্য নিয়ে তিনি জিটিএ নির্বাচন আটকাতে চলেছেন। বিমল গুরুংয়ের উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার। তিনি চাইছেন জিটিএ নির্বাচন নিয়ে বিজেপি সংসদ জাতি কেন্দ্রকে জানায়। তাতে গুরুং এর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আরো দৃঢ় হবে বলেই ধারণা।