Birbhum Arson : “আনারুল পদে ছিল আশিসের কথায়”, বিস্ফোরক মন্তব্য অনুব্রতর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস বরাবরই দাবি করে এসেছে যে তাদের মধ্যে কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই। সে জেলা হোক কিংবা  কলকাতা। বগটুই গণহত্যাকাণ্ড (Bagtui massacre) নিয়ে তৃণমূল ইতিমধ্যেই মানুষ এবং বিরোধী পক্ষের দ্বারা যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) এক  বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন।

Bimal Gurung on GTA election: জিটিএ নির্বাচন নিয়ে নারাজ, বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন গুরুং

 তিনি বললেন যে, আনারুল হোসেনকে ব্লক সভাপতি পদ থেকে অনেক আগেই সরাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রামপুরহাট এর বিধায়ক আশিস বন্দোপাধ্যায়ের (Asish Banerjee)অনুরোধে তাকে ওই পদে রেখে দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে একটা সরকারি চিঠি যেখানে আনোয়ার হোসেনের  পদ নিয়ে প্রশ্ন করতে দেখা গেছে আশিস বন্দোপাধ্যায়কে। চিঠিতে তার সইও রয়েছে।

Birbhum Arson  এমনকি চিঠিটা যে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা তা মেনে নিয়েছেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার। কী বক্তব্য রাখলেন অনুব্রত?

Birbhum Arson

বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি জানান যে, আশিস বন্দোপাধ্যায় ওনাকে মুচলেকা লিখে দেওয়ার মাধ্যমে পঞ্চায়েত পর্যন্ত রাখতে বলেছিলেন আনারুল হোসেনকে। যেহেতু আশিস বন্দোপাধ্যায় একজন প্রবীণ লোক তাই তার কথা অমান্য করতে পারেননি অনুব্রত। শুধু তাই নয় অনুব্রত আরও বলেন যে ভবিষ্যতের ( Birbhum Arson ) কিছু খারাপ ঘটনা ঘটতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই আনা হোসেনকে সরানোর কথা তিনি ভেবেছিলেন।

এদিকে আশিস বন্দোপাধ্যায় তার উত্তরে জানান, “চিঠিটা আমি লিখেছিলাম ১০ই মে ২০২১ এ। একটি সাংগঠনিক সভায় লিখেছিলাম।  আঞ্চলিক সভাপতিরা চাইছিলেন না সভাপতির পরিবর্তন হোক। তখন আমি চিঠি লিখেছিলাম তবে সভাপতির পরিবর্তন হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ প্রেসিডেন্টের ওপরেই ছিল।” অনেকেই অনুব্রতর বিরোধিতায় বলেছেন বগটুই গণ হত্যাকান্ডের ( Birbhum Arson ) চাপে পড়ে অনুব্রত এসব কথা বলছেন।

হয়তো তিনি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতেন তবে সিবিআইয়ের ভয়ে এখন তিনি বলছেন যে তিনি কিছুই জানেন না। সমস্ত তথ্য আশিস বন্দোপাধ্যায় কাছে রয়েছে। গোটা রাজ্যবাসী জানেন যে ভাদু শেখের সঙ্গে আশিসের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

Bogtui massacre

অনুব্রত আগে বার বার বলেছেন যে তার কোনো অনুরোধেই মুখ্যমন্ত্রী ফিরিয়ে দেন না তবে আনোয়ার হোসেনকে তার পদ থেকে সরানোর জন্য তিনি কঠোর হাতে সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারলেন না কেন? এসব থেকে মানুষের চোখের সামনে উঠে আসছে তৃণমূলের ভেতরকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। অবশ্য এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী  কোন বক্তব্য রাখেন কিনা সেটাই এখন দেখার পালা।

সম্পর্কিত পোস্ট