বিতর্কিত মন্তব্যের জের, ভাঙন পদ্ম শিবিরে
দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো মন্তব্য করেছেন দিলীপ। তাঁর এই মন্তব্যের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিতর্কিত মন্তব্য যেন তাঁর নামের সমার্থক শব্দ। কখনও তাঁর মুখে শোনা যাচ্ছে “গরুর দুধে সোনা পাওয়া যায়”। আবার কখনও বলছেন “সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের গুলি করে মারা উচিত”।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উপরিউক্ত উক্তি গুলির শ্রষ্ঠা ওরফে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এখন প্রায়ই খবরের শিরোনামে।
একের পর এক জনসভায় বিরোধী দল তৃণমূল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা তো করছেনই, সেই সঙ্গে বেলাগাম মন্তব্য কার্যত বাংলার এহেন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঝড় যে তুলেছে তা স্পষ্ট।
রবিবার নদিয়ায় একটি জনসভায় যোগ দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, ‘‘সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। কার টাকা এটা? এটা আমার, আপনার টাকা। ট্রেনে আগুন লাগাচ্ছে, কার টাকা ধ্বংস করছে? এত কিছু সত্ত্বেও একটা গুলি চালানো হল না। কোনও লাঠিচার্জ-এফআইআর করা হল না। কাউকে পুলিশ গ্রেফতারও করেনি এখনও। যারা আগুন জ্বালিয়ে সম্পত্তি নষ্ট করছে, তাদের কি বাপের সম্পত্তি এগুলো? কীভাবে তারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে পারে। আসাম, উত্তরপ্রদেশে আমাদের সরকার এই বিক্ষোভকারীদের উপর কুকুরের মতো গুলি চালিয়েছে। তাদের গ্রেফতার করে মামলা রুজু করা হয়েছে। আমরা এদেরকে জেলে ভরব, গুলি করে মারব’’।
আরও পড়ুনঃ “ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে তাণ্ডব চালাবেন না”, হুঁশিয়ারী মমতার
দিলীপ বাবুর এই বক্তব্যে বিরোধীরা তো বটেই এমনকী সরব হয়েছেন তাঁর দলেরই সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন
বিতর্কিত মন্তব্য যেন তাঁর নামের সমার্থক শব্দ। কখনও তাঁর মুখে শোনা যাচ্ছে “গরুর দুধে সোনা পাওয়া যায়”। আবার কখনও বলছেন “সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের গুলি করে মারা উচিত”।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উপরিউক্ত উক্তি গুলির শ্রষ্ঠা ওরফে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এখন প্রায়ই খবরের শিরোনামে।
একের পর এক জনসভায় বিরোধী দল তৃণমূল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা তো করছেনই, সেই সঙ্গে বেলাগাম মন্তব্য কার্যত বাংলার এহেন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঝড় যে তুলেছে তা স্পষ্ট।
রবিবার নদিয়ায় একটি জনসভায় যোগ দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, ‘‘সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। কার টাকা এটা? এটা আমার, আপনার টাকা। ট্রেনে আগুন লাগাচ্ছে, কার টাকা ধ্বংস করছে? এত কিছু সত্ত্বেও একটা গুলি চালানো হল না। কোনও লাঠিচার্জ-এফআইআর করা হল না। কাউকে পুলিশ গ্রেফতারও করেনি এখনও। যারা আগুন জ্বালিয়ে সম্পত্তি নষ্ট করছে, তাদের কি বাপের সম্পত্তি এগুলো? কীভাবে তারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে পারে। আসাম, উত্তরপ্রদেশে আমাদের সরকার এই বিক্ষোভকারীদের উপর কুকুরের মতো গুলি চালিয়েছে। তাদের গ্রেফতার করে মামলা রুজু করা হয়েছে। আমরা এদেরকে জেলে ভরব, গুলি করে মারব’’।
দিলীপ বাবুর এই বক্তব্য বিরোধীরা তো বটেই এমনকী সরব হয়েছেন তাঁর দলেরই সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো মন্তব্য করেছেন দিলীপ। তাঁর এই মন্তব্যের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।
BJP, as a party has nothing to do with what a DIlipGhosh may hv said•It is a figment of his imagination&BJP Govts in UP, Assam hv NEVER EVER resorted to shooting people for whatever reason whatsoever•Very irresponsible of DilipDa to hv said what he said https://t.co/aXF8pmJtAR
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) January 13, 2020
টুইট বার্তায় বাবুল জানান, ‘‘দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। উনি যা বলেছেন তার পুরোটাই কাল্পনিক। যত বড় কারণই হোক না কেন, উত্তরপ্রদেশ, অসমে বিজেপি সরকার কখনওই মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়নি। দিলীপদা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো মন্তব্য করেছেন।’’
তবে দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যের পরে কোনো প্রতিক্রিয়াই দেননি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কেউই।
দিলীপ-বাবুল তরজা প্রকাশ্যে আসতেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তাহলে কী বিজেপিতেও ঘুণ ধরাচ্ছে‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’?
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৪২ টি আসনের মধ্যে মাত্র ২২টি আসন পেয়েছে ঘাসফুল। ১৮ টি আসনে ফুটেছে পদ্ম। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বঙ্গে পদ্মচাষে সার হিসাবে কাজ করেছে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শুরু থেকেই বিভিন্ন ভাবে উঠে আসছে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব। এদিন প্রকাশ্যে এল সাংসদ দ্বন্দ্বও। আগামী দিনে তাহলে অন্তর্দ্বন্দ্বেই কী ধরাশায়ী হতে চলেছে গেরুয়া শিবির?
অপেক্ষা সময়ের …
টুইট বার্তায় বাবুল জানান, ‘‘দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। উনি যা বলেছেন তার পুরোটাই কাল্পনিক। যত বড় কারণই হোক না কেন, উত্তরপ্রদেশ, অসমে বিজেপি সরকার কখনওই মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়নি। দিলীপদা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো মন্তব্য করেছেন।’’
তবে দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যের পরে কোনো প্রতিক্রিয়াই দেননি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কেউই।
দিলীপ-বাবুল তরজা প্রকাশ্যে আসতেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তাহলে কী বিজেপিতেও ঘুণ ধরাচ্ছে‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’?
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৪২ টি আসনের মধ্যে মাত্র ২২টি আসন পেয়েছে ঘাসফুল। ১৮ টি আসনে ফুটেছে পদ্ম। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বঙ্গে পদ্মচাষে সার হিসাবে কাজ করেছে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শুরু থেকেই বিভিন্ন ভাবে উঠে আসছে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব। এদিন প্রকাশ্যে এল সাংসদ দ্বন্দ্বও। আগামী দিনে তাহলে অন্তর্দ্বন্দ্বেই কী ধরাশায়ী হতে চলেছে গেরুয়া শিবির?
অপেক্ষা সময়ের …