বাংলার শিক্ষকরা মর্যাদা পাচ্ছেন তো? শিক্ষক দিবসে ব্রাত্য- মলয় কে প্রশ্ন বিরোধীদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বর্তমানে এ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এবং শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে চিন্তিত? এই প্রশ্নই বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে । নিন্দুকেরা অবশ্য প্রশ্নের উত্তরে নেতিবাচক মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন। বলছেন, তিনি চিন্তিত নন। ত্রিপুরার দায়িত্ব নিয়ে বিজেপিকে হটিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতার আসনে বসাতে হবে। তাই পশ্চিমবঙ্গে দেওয়ার মত সময় কম। ত্রিপুরাতে সময় দেওয়াটাই এখন প্রধান কাজ।
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতৃত্বের বিশেষ বিমানে আসা-যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছিলেন করোনা বাড়াচ্ছে তারাই। কারণ হাইপ্রোফাইল নেতৃত্বের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরাও এই রাজ্য বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনের কাজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এক অভিযোগ এবার ত্রিপুরা বিজেপি নেতৃত্বের। তারা বলছেন যে ভাবে বিশেষ বিমানে বা প্রাইভেট বিমানে বা কখনো কমার্শিয়াল বিমানে কলকাতা টু আগরতলা মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী যেভাবে যাতায়াত করছেন তাতে আশঙ্কা বাড়ছে করোনার। কারণ তাঁর সঙ্গে অনেক নেতা কর্মীরা বিমানে আসছেন।
প্রশ্ন উঠছে বাম এবং গেরুয়া শিবির থেকে। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল প্রশ্ন করছে, বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এবং সারা রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা পরিষ্কার নয়। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে তার এ রাজ্যে থাকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তা কিন্তু তিনি করছেন না।
২০২৩ ত্রিপুরা নির্বচনে ক্ষমতার শীর্ষে পৌছানোর মূল টার্গেট। তাই ব্রাত্য বসুর মতো এরাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক তিনিও অধিকাংশ সময় ত্রিপুরার রাজনীতিতে সময় দিচ্ছেন। তাহলে এ রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী তাদের দপ্তরের কাজ বা দপ্তরের ফাইল মন্ত্রী কিভাবে সইসাবুদ করবেন?
এই দুই মন্ত্রী ছাড়াও কখনো কুণাল ঘোষ,সংসদ শান্তনু সেন, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার কমার্শিয়াল ফ্লাইটে যাওয়া-আসা করছেন। বিজেপির আশঙ্কা তৃতীয় ওয়েভ যেভাবে চোখ রাঙাচ্ছে গোটা দেশে তাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মী আসা-যাওয়া করছেন করোনা ছড়াতে পারে।
শিক্ষক ও যুব সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ে ত্রিপুরায় শিক্ষক দিবস পালন তৃণমূলের
বিজেপির এই অভিযোগের সঙ্গে ত্রিপুরার বামফ্রন্টের কিছুটা হলেও একই মত । বামেদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যেভাবে তৃণমূল নেতাকর্মীরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে করোনা পিরিয়ডে কমার্শিয়াল ফ্লাইটে যেভাবে যাওয়া-আসা করছেন তাতে ত্রিপুরা সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস এই তথ্য তারা মানতে নারাজ।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় পশ্চিমবঙ্গে বিরোধীদলকে বহিরাগত তকমা দিয়ে যেভাবে আক্রমণ করেছিল একইভাবে করোনা ইস্যুতে এক স্টাইলে বিপ্লব দেবের সরকার তৃণমূল কংগ্রেস কে বলছেন অনুপ্রবেশকারী। আর করোনা অতিমারির বিপর্যস্ত পরিস্থিতি যে ভাবে বাড়ছে তাতে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে বিজেপি।
অভিযোগ যেই করুক না কেন, ত্রিপুরা তৃণমূলের পাখির চোখ। তাই মাটি কামড়ে তৃণমূল কংগ্রেস পড়ে আছে ত্রিপুরায় সুস্মিতা দেবকে সামনের সারিতে রেখে। সুস্মিতা দেবের মূল টার্গেট বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে অস্ত্রে শান দেওয়া। পাল্টা এবার তৃণমূলের বলেই ব্যাট করছে ত্রিপুরার বিজেপি।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিশেষ বিমান ও করোনা ইস্যুতে কটাক্ষ যেমন করেছিলেন তেমনি একই ইস্যুতে ত্রিপুরার বিজেপিও তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না।