ত্রিপুরা-পাঞ্জাব থেকে ভালো খবর পাচ্ছেনা বিজেপি
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের জেরে পাঞ্জাব বিধানসভা ভোটের আগেই বিরাট ভাঙনের মুখে বিজেপি। ঠিক যেমন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ভোটে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার হিড়িক লেগেছিল। পাঞ্জাবে বিজেপি শিবিরের পুরনো সহযোগী শিরোমনি আকালি দলে ভিড়ছেন।
একইভাবে উত্তর পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরায় শাসক বিজেপিতে চরম সঙ্কটে। তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যাওয়ার জন্য অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ত্রিপুরায় শাসক দলের ভিতর ভাঙন বাড়ছে।
মোদী-শাহ, মমতা, কেজরি, রাহুল, CPIM সবার পরীক্ষা আগামী দু’বছর। ২০২২ সালে পাঞ্জাবে ভোট। ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় ভোট। এ রাজ্যে বিজেপির পাশাপাশি পরীক্ষায় বসবে সিপিআইএম। দলটি ত্রিপুরায় টানা ২৫ বছর সরকারে ছিল। গত বিধানসভায় সেই বাম সরকারের পতন হয়। ত্রিপুরায় এখন তারা প্রধান বিরোধী দল। পশ্চিমবঙ্গে শূন্য হলেও কেরলে পরপর দুবার সরকার তারা গড়েছে। ত্রিপুরায় ফিরে আসতে মরিয়া মানিক সরকার।
পরীক্ষা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পশ্চিমবঙ্গে টানা তিনবার সরকার গড়েছেন তিনি। দেশের অপর বাংলাভাষী প্রধান রাজ্যে তিনি রাজত্ব সম্প্রসারণে মরিয়া।
আর পাঞ্জাবে পরীক্ষা দেবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। টানা তিনবার দিল্লির সরকারে আম আদমি পার্টি। পাঞ্জাবে তারা অন্যতম শক্তি।পাঞ্জাবের মতো দুর্গ ধরে রাখার পরীক্ষায় নামছে কংগ্রেস। সেনিয়া-রাহুল গান্ধীর পাখির চোখ এই রাজ্য।
পাঞ্জাবে বিজেপির অবস্থা সঙ্গীন। কৃষি আইন বিরোধিতার পক্ষে গিয়ে এনডিএ জোটের অতি বিশ্বস্ত শিরোমনি আকালি দল একলা হয়ে গিয়েছে। গতবার তাদের শরিক বিজেপির কিছু আসন ছিল। সদ্য কয়েকটি স্থানীয় ভোটে বিজেপি একা লড়ে বেহাল। উঠে এসেছে আম আদমি পার্টি।
ত্রিপুরায় বিজেপির বিধায়করা ফের মমতা শিবিরে ঢুকতে হত্যে দিচ্ছেন। দলকে চাঙ্গা করতে বিজেপি বিধায়কের গলায় কখনও হাড় গুঁড়ো করার হুঁশিয়ারি তো তালিবানি রীতিতে মারধরের হুমকি শোনা যাচ্ছে। তার সঙ্গে জুটেছে ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি না পূরণের ক্ষোভ। সবমিলে রাজনৈতিক লড়াইয়ে দুই রাজ্যে চাপে মোদী ও শাহ।