Shantanu Thakur: বিস্ফোরক শান্তনু ঠাকুর , বললেন, “প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মতুয়াদের গুরুত্ব কেউ বোঝে না”
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বঞ্চনা থেকেই বিদ্রোহের জন্ম। বঙ্গ বিজেপিতেও ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে সেই পথে হাঁটানোর জন্য লড়াইয়ে নেমেছেন বিক্ষুব্ধরা। যে কোনও মূল্যে পদ আদায় করতে চাইছেন বিজেপির বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা শান্তনু ঠাকুর। বিস্ফোরক শান্তনু ঠাকুর কে নিয়ে নাজেহাল বঙ্গ বিজেপি।
“প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতুয়াদের গুরুত্ব বোঝেন। কিন্তু এরাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বের কেউই মতুয়াদের গুরুত্ব বোঝেনা। তারা মতুয়াদের নাগরিকত্ব দিতে চান না। মতুয়াদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাম-তৃণমূল কেউই মতুয়াদের জন্য ভাবেনি।” ফের বিস্ফোরক শান্তনু ঠাকুর।
ফের বিস্ফোরক শান্তনু ঠাকুর
শান্তনু ঠাকুর স্পষ্টভাবে জানাচ্ছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাগরিকত্ব দিতে। কিন্তু ভোটের স্বার্থে মতুয়াদের ব্যবহার করছেন অনেকেই। তারা চান না, মতুয়াদের নাগরিকত্ব দিতে।” অর্থাৎ এ থেকেই স্পষ্ট নাম না করে শান্তনু ঠাকুর কড়া বার্তা দিলেন এবং ক্ষোভ উগরে দিলেন এ রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বদের প্রতি।
মতুয়া মহাসঙ্ঘের সংঘাধিপতি ও বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের এহেন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে তার কোনো কথা হয়নি। কথা হলে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
দেউচা পাচামি কী? কেন মমতা এই ‘অসম্ভব’কে সম্ভব করতে চাইছেন? পর্ব-১
২০২১ সালে বাংলার নির্বাচনে পর্যুদস্ত হওয়ার পর এরাজ্যে বিজেপির ভাঙন ছিল অনিবার্য। তাই পঞ্চায়েত প্রধান থেকে একের পর এক বিধায়কের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়াটা ছিল স্বাভাবিক বিষয়। তার মধ্যে তেমন কোনও চমক না থাকলেও কিন্তু দলের আদিরা এভাবে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে লড়াইয়ে নেমে যাবেন, সেটা সম্ভবত কেউ ভাবতেও পারেননি।
এই অবস্থায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াই না করে বিজেপি কোমর বেঁধে নামলে বেশ কয়েকটি পুরসভায় তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারত। সেক্ষেত্রে রাজ্যের ১১১টি পুরসভার নির্বাচনই ছিল বিজেপির সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর মস্ত সুযোগ। কিন্তু দলীয় কোন্দলে সেই সুযোগও হাতছাড়া হওয়ার পথে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বঙ্গ বিজেপিতে মুষল পর্ব শুরু হয়ে গেলেও দিল্লির নেতারা ফিরে তাকাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির বিক্ষুব্ধদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ‘বিপ্লব করে খবরে থাকার চেষ্টা করবেন না’ বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপবাবু। বিস্ফোরক শান্তনু ঠাকুর কেই যে এই বার্তা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
Fire breaks out Mumbai: মুম্বাইয়ের বহুতলে আগুন , মৃত ৬, আহত বহু
প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অধুনা জেপি নাড্ডার টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তাই তাঁর এই কড়া বার্তা আদতে বিজেপির কেন্দ্রীয় পার্টির মনোভাবেরই প্রতিফলন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।