বিজেপি হিন্দুদের নয়, পুঁজিপতিদের দল:ফিরহাদ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বুধবার দু’দিনের সফরে রাজ্যে এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তুষ্টিকরণের রাজনীতি অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎরপ্রকাশ নাড্ডা। এদিন কলকাতার গান্ধি মূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে পালটা তুষ্টিকরণের অভিযোগ তুললেন ফিরহাদ।

এদিন কৃষকদের ধরণা মঞ্চ থেকে ফিরহাদের অভিযোগ, অনেকে ভাবে বিজেপি একটা হিন্দু পার্টি, জয় শ্রীরাম বলছে, রাম মন্দির তৈরি করছে। হিন্দুদের জন্য কাজ করছে। কিন্তু আমি বলব, না ভাই, বিজেপি হল পুঁজিপতিদের দল। এই দল হিন্দুরও নয়, মুসলমানেরও নয়, মানুষেরও নয়। এরা পুঁজিপতিদের দালাল।

তিনি বলেন, ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছিল বাংলার কৃষকরা। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম দেখিয়েছিল কোনওভাবে বাংলায় কৃষকবিরোধিদের জন্য জায়গা নেই।

একইভাবে এই রাজ্য থেকেও বাংলার কৃষিজীবী শ্রমজীবী মানুষ বিজেপিকে তাড়িয়ে ছাড়বে। কারণ তাঁদের ঘাম, পরিশ্রমের কোনও মূল্য দিয়ে কেন্দ্র সরকার কর্পোরেটদের কাছে আত্ম সমর্পণ করেছে। তাঁদের তুষ্ট করার চেষ্টা করছে।

এ দিন রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলকে রুগ্ন করে তোলার পেছনে একটি বেসরকারি টেলিফোন সংস্থার প্রতি কেন্দ্রের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ওই টেলিকম সংস্থার থেকে টাকা নিয়ে ভোট খরচের জন্যই অন্য সরকারি সংস্থাকে রুগ্ন করে তোলা হচ্ছে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-government-will-issue-a-10-year-report-card-to-respond-to-the-opposition/

তিনি আরও বলেন, এতদিন কৃষিক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ ছিল চাষীদের হাতে। কিন্তু কেন্দ্র তাও এবার নতুন আইন করে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিয়েছে। আগামীদিনে এমন সময় আসবে যখন দেশের কৃষকদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে।

ফিরহাদের মতে, তখন ফসবের নির্দিষ্ট দাম বেঁধে দিয়ে কৃষকের ফসল কর্পোরেট সংস্থার হাতে বিক্রির জন্য বাধ্য থাকবে।এরফলে কৃষকও তাঁদের ফসলের মূল্য পাবে না। সাধারণ মানুষও তা কমদামে কিনতে পারবে না। ফিরহাদের মতে, মোদি সরকারের নয়া কৃষি আইন কৃষক বিরোধী। এতে গরীব কৃষকদের ভাতে মারার চেষ্টা হয়েছে।

এদিন ধরণা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি বলেন, কৃষকের জন্য আন্দোলন করে আজ এই জায়গায় এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কৃষকদের লড়াইয়ে সব সময় তাঁদের পাশে আছেন। কোনওভাবেই কৃষকবিরোধী এই আইন রাজ্য সরকার মেনে নেবে না।

সম্পর্কিত পোস্ট