মনীশ শুক্লা হত্যাঃ বনধ ঘিরে দফায় দফায় অশান্তি, ভিড় সামলাতে হিমশিম পুলিশ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ মনীশ শুক্লাকে টিটাগড় থানার সামনে ভিড় রাস্তায় গুলি করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ব্যারাকপুরে ১২ ঘন্টার বনধ পালিত হল। বিজেপি নেতা খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন রাজ্য বিজেপির নেতারা ব্যারাকপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার নানা প্রান্তে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।

বিজেপির দাবি, মনীশ শুক্লা খুনের ঘটনার তদন্ত করুক সিবিআই। ব্যারাকপুর কমিশনারেট পুলিশের উপর তাদের কোন ভরসা নেই। তার কারণ পুলিশের ষড়যন্ত্রের কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন বিজেপি জানিয়েছে, ব্যারাকপুর বনধে মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দিয়েছে। যদিও এদিনের বনধে তেমন প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।

তাদের কথায়, রাস্তার উপর কিছু দোকানপাট বন্ধ থাকলেও, পাড়ার ভিতর সব দোকান খোলা ছিল এবং স্বাভাবিক ছিল জনজীবন। প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লা যখন টিটাগর থানার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সে সময় আচমকা দুটি বাইকে করে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থলে আসে এবং গুলি চালাতে থাকে। চারটি গুলি মনীশের শরীরে লাগে। তাকে উদ্ধার করে ইএম বাইপাসের ধারে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এরপর থেকে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ঘটনাস্থল ও ব্যারাকপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। থানা ঘেরাও, বিক্ষোভ-অবরোধ চলতে থাকে। এরপরই বেশি রাতের দিকেই বিজেপির পক্ষ থেকে ১২ ঘন্টার ব্যারাকপুর বনধের ডাক দেওয়া হয়।

এই ঘোষণা মতেই এদিন দিনভর বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে, শ্যামনগর, ব্যারাকপুর, টিটাগড়, খড়দা, সোদপুরের বিভিন্ন রাস্তায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা অবরোধ করে এবং টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/barraxkpore-bjp-leader-manish-shukla-murder-case/

পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে বিশাল সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা বিভিন্ন জায়গায়। টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে জোর করে বনধ পালন করানোর অভিযোগ ওঠে।

এদিকে রবিবার রাতে খুনের ঘটনার পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর টুইট করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিন্দা করেন। এবং রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি কে রাজভবনে তলব করেন।

কিন্তু গরহাজির থাকেন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি। তাই নিয়েও সোমবার টুইটারে ক্ষোভপ্রকাশের পর তিনি এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন। এরফলে রাজ্যপাল-রাজ্য প্রশাসনের দ্বন্দ্ব আরও খানিকটা বাড়ল, তা বলাই বাহুল্য।

সম্পর্কিত পোস্ট