বিজেপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, ওঁদের এইমসে ভর্তি করে চিকিৎসা করা উচিত : জ্যোতিপ্রিয়

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ‘পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ওঁরা যে ভাষায় কথা বলছেন তাতে ওঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ওঁদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার। ওঁদের সর্বভারতীয় সভাপতির উচিত এঁদের প্রত্যেককে দিল্লি নিয়ে গিয়ে ‘এইমস’-এ ভর্তি করে ভালো করে চিকিৎসা করা।’

রবিবার গোবরডাঙায় দলীয় কর্মসূচি শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই বেফাঁস ও আপত্তিকর মন্তব্য করা রাজ্য বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে বলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘এ বাংলা কাদের বাংলা? এ বাংলা রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথের, নজরুলের বাংলা। এ বাংলায় ‘বদলা’ হয়? এ বাংলায় মারের বদলে মার হয়? ওঁরা (বিজেপি) যত কুৎসা করবে, ‘ফেক নিউজ’ আমরা তত উন্নয়ন করব।

তাঁর কথায়, আসলে বিজেপি সভাপতি সম্পর্কে কোনও কথা বলা যাবে না, কারণ তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাব আছে। ভারতীয় জনতা পার্টির অধিকাংশ লোকেরই শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাব আছে। কাকে কী বলতে হয় জানে না। ওঁদের যুব মোর্চার সভাপতি বলছে পুলিশকে মারো, ওঁদের একজন সাধারণ সম্পাদক বলছে থানা জ্বালিয়ে দাও! এসব কী সভ্য সমাজে হয়? আমরা তো একসময়ে বিরোধী দলে ছিলাম। থানা জ্বালিয়ে দাও একথা বলা যায়?’

আগামী ৫ দিন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিল আবহাওয়া দফতর

তিনি বলেন, ২০১১ সালে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বদলা নয়, বদল চাই’। কিন্তু ওঁদের সভাপতি বলছেন বদলাও নেবো, বদলও চাই। ওঁরা বাংলার মানুষকে কী ভাবেন? বাংলার মানুষকে বোকা ভেবেছেন নাকি?

তাঁর কথায়, ভারতবর্ষকে পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে বাংলা। আমরা তা যুগযুগ ধরে দেখেছি। এসব আকথা, কুকথা বলে বাংলায় ক্ষমতায় আসা যায় না। বিজেপি যে ক্ষমতায় আসার কথা বলছে তারা ২০৫৬ সালের কথা ভাবুন। ২০২১ সালের কথা ভেবে লাভ নেই।’

এদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিজেপি নেতা-কর্মীরা গোবরডাঙায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন।

এসম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘বনগাঁ দক্ষিণে চাঁদপাড়া, ফুলসরা, ডুমা, কালুপুর এবং গাইঘাটার মধ্যে গোবরডাঙা পৌর এলাকার প্রায় সাড়ে তিনশো মানুষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

কালুপুর, ফুলসরা, গোবরডাঙা, চাঁদপাড়ার ‘বিজেপি’র মাথা’রা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সবাই মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে শামিল হতে চায়।’

‘আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যেকটা গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি’র দখলে আছে আমরা জোর করে নয়, তারা স্বেচ্ছায় এসে তৃণমূলে যোগ দেবে বলেও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মন্তব্য করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট