কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশে উত্তাল বিধানসভা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রের তরফে পাশ হওয়া তিনি কৃষি আইনের প্রতিবাদে সারা দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করতে দুই দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। সেখানেই তার বিরোধিতা করেন বিজেপি বিধায়করা।
মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের শুরুতেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি এবং তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া বিধায়করা। পরে বিধানসভা ওয়াক আউট করেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি আইন কৃষকদের জন্য বিপজ্জনক। এই আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, নীতিগত পার্থক্য থাকলেও এই প্রস্তাবে সমর্থনের জন্য বিরোধীদের আহ্বান জানান তিনি। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে এই আইন প্রত্যাহার করার জন্য ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান জানান তিনি। কৃষি আইন প্রত্যহারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ১৯৩ টি সমঝোতা নিশ্চিত বাম-কংগ্রেসের, তৃতীয় শক্তি হিসাবে মহাজোট ইঙ্গিতপূর্ণ -মন্তব্য অধীরের
কৃষকদের আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য তাঁদেরকে পাকিস্তানি, খালিস্তানি এবং অন্যান্য তকমা দেওয়া হচ্ছে। সকলকে একজোট হয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরপরেই বিরোধিতা করতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ দেওয়ার সময় কৃষি আইনের সমর্থনে শ্লোগান দিতে শুরু করেন। কেন্দ্রের তরফে পাশ হওয়া আইনের বিরোধিতা করে কিভাবে প্রস্তাব পাশ করানো যেতে পারে তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন বিজেপি বিধায়করা।
একইসঙ্গে বিজেপি বিধায়করা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে কুরুচিকর শব্দ ব্যবহার করেছেন তার বিরোধিতা করেই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। যা হচ্ছে তা অগণতান্ত্রিক দাবী বিজেপি বিধায়কদের।
উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ করে পাঞ্জাব এবং কেরল সরকার। এরপরেই কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ করতে বিশেষ অধিবেশনের ডাক দেন রাজ্য সরকার। যদিও এর আগে প্রস্তাব পাশের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিকবার চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।