কৃষক আন্দোলন সমর্থনকারী রাজনৈতিক দলগুলিকে কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি সীমান্তে ১৩ তম দিনে পড়ল আন্দোলন। কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে ১৬ টি রাজনৈতিক দল। সমর্থনে এগিয়ে এসেছে সমস্ত অবিজেপি ইউনিয়নগুলিও। এতেই সরব হয়েছে কেন্দ্রের শাসক দলের একাধিক নেতারা।
গেরুয়া শিবির মন্তব্য, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তাঁরা এখন গোটা দেশকে ঘিরে রাখতে চাইছে। এতে বিরোধী শক্তির মদত রয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫ কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে ৫ দফার বৈঠক করেছে কেন্দ্র। কিন্তু তাতে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। বরং আইন প্রত্যাহারের দাবীতেই সরব থেকেছেন কৃষকরা।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারাই কৃষি আইনে বদল আনতে চেয়েছিল এখন তারাই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই ইস্যুকে রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন কৃষি ব্যবস্থাকে বেসরকারিকরণের পথে হেঁটেছিল এনসিপি এবং কংগ্রেস। ২০১৯ এর কংগ্রেসের ইস্তেহার পত্রেও সেই কথার উল্লেখ ছিল।
ইউপিএ সরকার থাকাকালীন তৎকালীন কৃষি মন্ত্রী শরদ পাওয়ার সাফ জানিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই এপিএমসি আইন খতম শেষ হয়ে যাবে। এমনকি কৃষি সম্পদ বিপননের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির মধ্যে আইন আনতে চেয়েছিল ইউপিএ সরকার।
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেন, দেশের যে কোনও কৃষকরা যাতে জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারে সেই আইন আনা হোক, এটা তো শরদ পাওয়ার নিজেই আনতে চেয়েছিলেন। তিনি এবিষয়ে একাধিক আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম উল্লেখ করে ফড়নবীশ বলেন, দিল্লি সরকার এখন কৃষক আইনের বিরোধিতা করছে অথচ তারাই প্রথম এই আইন পাশ করাতে চেয়েছিল।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৯ সালে স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এপিএমসির বিরোধিতা করছিল আকালি দল। আইনে সবজি এবং ফসলের উল্লেখ না থাকাকালীন শিবসেনা নতুন আইনের পক্ষ নিয়েছিল। অন্যান্য দল যেমন তৃণমূল, ডিএমকে এবং বামেরা নতুন আইনের বিরোধিতা করে ভন্ডামি করছে।
বিজেপি নেতার দাবী, আন্দোলনে শুধুমাত্র পাঞ্জাবের কৃষকরা শামিল হয়েছেন। তাই আমি মনে করি যে সমস্ত রাজনৈতিক দল দেশব্যাপী ধর্মঘটকে সমর্থন করতে চাইছে, তাঁরা মোদি সরকারের বিরোধিতা করছে।
প্রসঙ্গত, তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে দেশের সমস্ত কৃষক সংগঠনগুলি। সমর্থনে এগিয়ে এসেছে বামেরা। এছাড়াও রয়েছে এনসিপি, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, টিআরএস, আপ। সোমবার মেদিনীপুরের জনসভা থেকে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকালে কৃষকদের সঙ্গে সিঙ্ঘু বর্ডারে সাক্ষাৎ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।