২৪ এর আগেই ট্যুইটার তামাশা বিরোধী শিবিরে
শুভজিৎ চক্রবর্তী
২৪ নির্বাচনে মোদি সরকারকে গদিচ্যুত করতে মরিয়া বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু প্রথম স্থানে থাকবেন কে? তা নিয়ে বেজায় দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরে। ট্যুইটারে উত্তর এবং প্রত্যত্তরের তামাশা শুরু হয়েছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে।
শুরুটা হয়েছিল নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের একটি ট্যুইট ঘিরে। যে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে গত মাস কয়েক ধরে জল্পনা ছিল কংগ্রেসে যাচ্ছেন।
সেই প্রশান্ত কিশোর শুক্রবার ট্যুইটারে লেখেন, “যাঁরা মনে করছেন লাখিমপুর খেরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের সবচেয়ে পুরানো দলের নেতৃত্বে বিরোধিরা একটা দ্রুত এবং স্বতঃস্ফূর্ত পুনরুজ্জীবন পাবে। তাঁদের জন্য হতাশা অপেক্ষা করছে৷ দুঃখজনক ভাবে দেশের সবচেয়ে পুরানো দলের সমস্যা অনেক গভীরে এবং সাংগঠনিক কাঠামো একেবারেই দুর্বল। এই দুর্বলতার কোনও সমাধান নেই”।
People looking for a quick, spontaneous revival of GOP led opposition based on #LakhimpurKheri incident are setting themselves up for a big disappoinment.
Unfortunately there are no quick fix solutions to the deep-rooted problems and structural weakness of GOP.
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) October 8, 2021
প্রশান্ত কিশোরের এই ট্যুইট থেকে বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরতে শুরু করেছে। নাম না করে তিনি যে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন তা একেবারেই স্পষ্ট। এর পরেই প্রশান্ত কিশোরের নাম উল্লেখ না করে সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছেন ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল।
তিনি ট্যুইট করে লেখেন, ” মানুষ জাতীয় স্তরে বিকল্প খুঁজে বেড়াচ্ছে। নিজেদের আসনে জয়লাভ করতে না পারা বড় হতাশার বিষয়। জাতীয় স্তরে বিকল্প হতে গেলে অনেক গভীরে ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন পড়ে। দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়”।
Rich words coming from a first-time CM. Punching above your weight doesn’t bring honour to you, Mr. @bhupeshbaghel. What a shoddy attempt to please the high command!
By the way, is @INCIndia going to try to erase the historical defeat at Amethi through yet another Twitter Trend? https://t.co/UiI1Zvcudl
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) October 8, 2021
ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইটে উল্লেখ করে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বার্তা, প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে অনেক বড় বড় কথা শোনা যাচ্ছে৷ আপনার কাছ থেকে এধরনের কথা মানায় না। আপনি হাইকম্যান্ডকে খুশি করার চেষ্টা করছেন৷ আসলে কংগ্রেস আমেঠিতে ঐতিহাসিক হারের ইতিহাস মুছে ফেলতে চাইছে।
সম্প্রতি কংগ্রেস বনাম তৃণমূলের দ্বন্দ্ব বেশী করে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। বিজেপির বিকল্প একমাত্র তৃণমূল এমনটাই প্রচার করতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলাও করে দলীয় মুখপাত্রে লিখছেন বারবার।
২৪ নির্বাচনে যখন মোদি বিরোধী জোটের আগেই শুরু হয়েছে বাদানুবাদ। সময়ের আগে নেতৃত্ব স্থির করতে না পারলে ফের সমস্যায় পড়তে পারেন বিরোধিরা।
যদিও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, টিআরএস এবং ডিএমকের সঙ্গে কংগ্রেসের যে দুরত্ব তৈরি হয়েছে তাঁকে হাতিয়ার করেই আগামী দিনে বিরোধি জোট তৈরি করতে চায় তৃণমূল। যার নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বাংলার বাইরেও শুরু হয়েছে তৃণমূলের বিস্তার পর্ব। কতটা সফল হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল? তা সময় বলবে৷