বিপ্লবমুক্ত ত্রিপুরা!

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গুরুত্ব বৃদ্ধি, নাকি এ আসলে শিকড় থেকে উৎখাত করার প্রচেষ্টা? ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের প্রমোশন না ডিমোশন হল তা নিয়েই এখন আগরতলায় জোর জল্পনা চলছে। কারণ হঠাৎ করেই শুক্রবার তাঁকে হরিয়ানার দায়িত্ব নিয়ে চণ্ডীগড় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আগামী দু’বছর জাঠ অধ্যুষিত রাজ্যটিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন ত্রিপুরার এই অপসারিত মুখ্যমন্ত্রী।

মাস ছয়েক আগে বিপ্লব দেবকে আচমকায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করেই গদি ছাড়েন তিনি। তারপর থেকে স্রেফ সাধারণ একজন বিধায়ক হয়ে ছিলেন বিপ্লব।

এরই মাঝে কানাঘুষো জল্পনা ছড়ায়, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার ছেড়ে দেওয়া রাজ্যসভা আসনে বিপ্লবকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু ফের মুখ্যমন্ত্রীর গদির দিকে নজর থাকায় ত্রিপুরা ছেড়ে যেতে চাননি তিনি। যদিও এই জল্পনা নিয়ে বিপ্লব দেব বা বিজেপি কেউই কখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি।

তবে দেখা যাচ্ছে তিনি ত্রিপুরা ছাড়তে না চাইলেও শেষ পর্যন্ত বিজেপিই বিপ্লবকে আগরতলা ছাড়া করে ছাড়ল। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক পদটি বিজেপিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ও ওজনদার। কিন্তু যে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে ফিরতে চায় তার কাছে এই পদ বোঝা বই কি! তাছাড়া হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট হতে এখনও দু’বছর বাকি। ২০২৪ সালের অক্টোবরে হরিয়ানায় নির্বাচন হওয়ার কথা।

ছাত্র নেতা আনিসের ভাইয়ের উপর প্রাণঘাতী হামলা

এমনিতেই কৃষক আন্দোলনের পর জাঠ অধ্যুষিত হরিয়ানায় ভালো ফল করা বিজেপির পক্ষে যথেষ্ট কঠিন। এই অবস্থায় বিপ্লব দেব যদি সে রাজ্যের সাফল্য এনে দিতে না পারেন, তবে দলের অভ্যন্তরে তাঁর অবস্থান আরও নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। এদিকে ২৩ সালের শুরুতেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। এই সময় রাজ্যের বাইরে থাকা মানে ফের মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে ফিরে আসার যাবতীয় আশায় জল ঢেলে দেওয়া।

ত্রিপুরার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের সঙ্গে মন কষাকষির কারণেই বিপ্লব দেবকে ভিন রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে আগরতলা থেকে সরিয়ে দিয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। এখন তিনি চাইলেও সরাসরি ত্রিপুরার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। এই ঘটনায় কিছুটা হলেও মুষড়ে পড়েছেন বিপ্লব অনুগামীরা।

সম্পর্কিত পোস্ট