৭৭ এও ঘর আগলাচ্ছে বিজেপি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ২ রা মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেই বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। অন্যদিকে লক্ষ্যমাত্রা ‘২০০ পার’ থেকে অনেক দুরেই আটকে গিয়েছে বিজেপির আসন সংখ্যা। মাত্র ৭৭ টি আসন ঝুলিতে ভরে তাঁরা৷ নির্বাচনের ফলাফলের পরেই হাওয়া বদল হতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন দলবদলু নেতারা।
ইতিমধ্যেই দলবদলের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খোলা আবেদন জানিয়েছেন সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাসরা। বিজেপি ছেড়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, বাচ্চু হাঁসদা এবং অমল আচার্যরা। শিবির বদলে ঝুঁকেছেন উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।
দলবদলের পর যারা টিকিট পেয়েছিলেন, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নিষ্ক্রিয় রয়েছেন সব্যসাচী দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, জিতেন্দ্র তিওয়ারিরা। দেখা মিলছে না জটু লাহিড়ী, শীতল সর্দার, রথীন চক্রবর্তীদের৷ পুরাতন দলে ফিরতে চাইছেন সরলা মুর্মুরাও। মাঝ সেতুতে দাঁড়িয়ে জল মাপছেন মুকুল রায় এবং শুভ্রাংশু রায়।
যদিও বিজেপি সঙ্গে সম্পর্ক একপ্রকার বিচ্ছিন্ন করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন শুভ্রাংশু। সূত্রের খবর, গত বছর থেকেই তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন শুভ্রাংশু। সদ্য হাসপাতালে তাঁর মাকে দেখতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই আরও জল্পনা বেড়েছে। তবে মুকুলের অবস্থান নিয়ে বৈঠকে বসতে চাইছে বিজেপি।
অন্যদিকে, তৃণমূলের অন্দরের খবর ১২ থেকে ১৩ জন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। রয়েছেন ৪ জন সাংসদও। তৃণমুলের এক নেতার কথায়, রোজ নীচু তলা থেকে ওপর তলা অবধি যোগদানের জন্য এত পরিমাণে আবেদন আসছে আলাদা করে স্টোর রুমের প্রয়োজন হবে। কিন্তু এসব নিয়ে না ভেবে বরং করোনা এবং ঘুর্ণিঝড় পরিস্থিতি নিয়ে মোকাবিলা করতে চায় সরকার।
গত বারের নির্বাচনে ৩ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। সেখান থেকে অন্যান্য দল থেকে ৩৩ জন বিধায়কদের দলে যোগদান করানো হয়। কিন্তু ২১ এর মহাযুদ্ধে ৭৭ টি জয়ের পরেও আসন ধরে রাখতে পারছে না গেরুয়া শিবির। নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় শীর্ষ নেতৃত্বদের মিলছে না খোঁজ। হুগলীর কর্মীসভায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে দিলীপ ঘোষকে। রাজ্য নেতৃত্ব এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখা না পেয়ে টুইট করছেন তথাগত রায়। দলের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নীচু তলার কর্মীরা। তাই এখন এক ফুল থেকে দুই ফুলে সরে যাচ্ছেন অনেকেই।