বিজেপির নজরে হাওড়া, রাজীবের নিরাপত্তায় ফাঁক রাখতে নারাজ শীর্ষ নেতৃত্ব

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  রবিবার ডুমুরজলায় বিজেপি-র সভা শেষে ফেরার পথে হাওড়ার বাঁকড়া-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, এর পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

এই ব্যবস্থায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তায় থাকবেন একজন কমান্ডান্ট-সহ সিআরপিএফ-এর ২৪ জন জওয়ান। সোমবার সকাল থেকেই এই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে চলে এসেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেই তাঁকে জেড প্লাস নিরাপত্তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল বুলেট প্রুফ গাড়িও।

অন্যদিকে, দিল্লিতে গিয়ে গত সপ্তাহে বিজেপিতে যোগ দেন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যাওয়া শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। তাঁকে ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

করোনা আবহে রেশনডিলারদের জন্য একগুচ্ছ সুবিধা রাজ্যের

কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকেন অর্জুন সিং-এর মতো একাধিক বিজেপি সাংসদও।

শনিবার রাজীবের সঙ্গে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন উত্তরপাড়া ও বালির বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া। তাঁরা ছাড়াও ছিলেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী, রাণাঘাট পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় ও অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

অমিত শাহর বাড়িতে বিজেপিতে যোগ দিলেও রবিবারই প্রথমবার গেরুয়া শিবিরের সমবেশে এলেন রাজীব। আর সেখান থেকেই রাজ্য সরকারের নিন্দা করেন তিনি ।

বলেন, ‘‘ভোটের মুখে দুয়ারে সরকার করতে হচ্ছে। তার মানে এতদিন মানুষের দুয়ারে যায়নি সরকার। পাড়ায় পাড়ায় সমাধান করতে হচ্ছে। তার মানে এতদিন পাড়ায় পাড়ায় সমস্যা ছিল।’’ এর পরেই তিনি বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে শুরু থেকেই দুয়ারে দুয়ারে যাবে সরকার। পাড়ায় পাড়ায় যাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট