বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেই কী সোনার বাংলা গড়বে বিজেপি? প্রশ্ন পার্থর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোনার বাংলা গড়ার নামে বাংলার সংস্কৃতি ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি।বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এভাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দলকে একহাত নিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপধ্যায়।
উল্লেখ্য দু’দিন আগে ভার্চুয়াল জনসভা থেকে বাংলায় সরকার বদলের ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।এরপর এদিন বনিক মহলের অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বারবার বাংলার প্রসঙ্গ উঠেছে এসেছে।
অতএব একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাখির চোখ যে বাংলা সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমফান ও করোনার জোরা সংকটে বিজেপি মসনদ দখলের জন্য ব্যগ্রতা নিয়ে এদিন মুখ খুলল তৃণমূল।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,যিনি সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিচ্ছেন তাঁর চোখের সামনেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়। তাঁরই দলের একজন প্রচারক বললেন বিদ্যাসাগর সহজপাঠ লিখেছেন। যাঁরা সোনার বাংলা গড়তে চায়, তাঁরা বাংলার সংস্কৃতিকে ভেঙে দিতে চাইছে। বিজেপি বাংলায় নতুন সংস্কৃতি গড়ার চেষ্টা করছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, সোনার বাংলা কি বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা দিয়ে শুরু হবে?
ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা এ রাজ্যে নিরাপত্তা পাচ্ছেন। তাই এ রাজ্য থেকে ছেড়ে যাচ্ছেন না তাঁরা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পার্থর।
Unlock1: মন্দারমনি পর আজ থেকে খুলল রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র দীঘা
বিজেপি বিরুদ্ধে তাঁর তোপ, কুর্সি দখলের চেষ্টা না করে বাংলার পাশে দাঁড়ান। বাংলাকে কিছু না দিয়ে কুর্সি দখল করা যাবে না। করোনা, আমফানের ক্ষতি সামাল বড় চ্যালেঞ্জ বলছেন পার্থ।
তাঁর মতে, মানুষকে বাঁচানোই এখন প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা রাজনীতি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়। এর আগেও বারবার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতি না করার আরজি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
পার্থর কথায়, আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ মানুষকে বাঁচানো। আমফানে বিপুল ক্ষতি। যথা সর্বস্ব দিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে মানুষকে সবরকমের সাহায্য করছেন। তাঁর দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসাধ্য সাধন করছেন। এই সময় রাজনীতি করছে বিজেপি।
পার্থবাবুর আরও অভিযোগ, বিজেপি শুধু মানুষকে ভাঁওতাই দিচ্ছে না, মানুষকে বিভ্রান্তও করছে। এর আগে তারা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পালন করেনি। মানুষ জানে এবারও প্রতিশ্রুতি পুরণ করবে না বিজেপি।
পরিযায়ীদের নিয়ে রেল এবং কেন্দ্রের অব্যবস্থার অভিযোগ আগেও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার ফের তিনি বলেছেন, ‘যে ট্রেনে ১২০০ লোক পাঠানো উচিত সেখানে আড়াই হাজার লোক তুলে দেওয়া হচ্ছে। ট্রেনের ফ্রিকোয়েন্সি আরও বাড়ানো উচিত ছিল।’
তাঁর কথায়, ‘ধর্মীয় জমায়েতে একসঙ্গে এত লোক গেল কেন, সেটাই তো বিজেপি পার্টির প্রচার ছিল। সেটা যদি অন্যায় হয় আপনি নিজে সেই একই অন্যায় কী করে করলেন? ট্রেনে গাদাগাদি করে লোক পাঠালে তো সংক্রমণ বাড়বে। কেন ভালো লোকগুলোকে বিপদেরমুখে ফেললেন?’ সেই একই বক্তব্য নিয়ে এদিনও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তৃণমূল নেতারা।
রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছেনই পরিযায়ীদের জন্য পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে ১০ হাজার টাকা করে দিতে। বিজেপি পরিযায়ীদের জন্য যদি এতই ভাবিত হয় তবে কেন তাঁদের একাউন্টে পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছেন না।
অমিত শাহের “আয়ুষ্মান ভারত’ নিয়ে খোঁচা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি সরকার এক মিনিটে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ চালু করার কথা বলছে, তা হলে গোটা রাজ্য বিনাপয়সার চিকিত্সা বন্ধ হয়ে যাবে। কৃষকদের নিয়েও মিথ্যাচার করছেন অমিত শাহ। কৃষকদের যে টাকা দেওয়ার কথা বলছেন ওনারা, তার থেকে অনেক বেশি সুবিধা আমরাই বাংলার কৃষকদের দিয়েছি।