বিজেপির মতুয়া গড় ভেঙে তছনছ, নদিয়ার ফলে বামেদের ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কের ওপর ভর করে বনগাঁ, রানাঘাটের মতো লোকসভা আসন তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও তাদের সেই সাফল্যের ধারা কমবেশি অব্যাহত ছিল।
কিন্তু একুশের পুরভোটে বিজেপির সেই মতুয়া গড় ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে নদিয়া জেলার কল্যাণী, হরিণঘাটা, কৃষ্ণনগর মতো একের পর এক পুরসভায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা।
বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে বনগাঁ, কল্যাণী, হরিণঘাটা, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট পুরসভায় এগিয়ে ছিল বিজেপি। পুরভোটে শাসক তৃণমূলের সঙ্গে তাদের সরাসরি ক্ষমতা দখলের লড়াই হবে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল।
কিন্তু ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিনে দেখা যায় শাসকদলের দাপটের সামনে ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বামেরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিল ভোট লুটকারীদের।
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দ্বিতীয় বামেরা , শ্রেণি বিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে উঠছে সিপিএম?
বুধবার পুরভোটের ফল বের হতে দেখা গেল মতুয়া অধ্যুষিত একের পর এক পুরসভায় শূন্য পেয়েছে বিজেপি। বামেরা কোথাও খাতা খুলতে পেরেছে, আবার অনেক জায়গাতেই খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে মতুয়া প্রভাবিত বেশিরভাগ ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা।
এই মতুয়া প্রভাবিত এলাকায় বিজেপির দু’জন সাংসদ। তাদের মধ্যে একজন আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আছে একগুচ্ছ বিধায়ক। এতকিছু নিয়েও মতুয়া অধ্যুষিত পুরসভাগুলিতে দাগ কাটতে ব্যর্থ হল গেরুয়া শিবির।
যা দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করার যে লজ্জাজনক ধারা তৈরি হচ্ছিল বাংলায় সেটা শেষের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এখন বামেরা যদি আরেকটু সক্রিয় হয়ে ওঠে তবে জাতপাতের রাজনীতি থেকে অনেকটাই মুক্ত হতে পারবে বাংলা।