ঝাড়খণ্ডে বিজেপির টাকার খেলা শুরু? হাওড়ায় কংগ্রেস বিধায়কদের ধরা পড়া কী তারই প্রমাণ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক ৪৯ লাখ টাকা গাড়ি করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এটা সোমবার সন্ধের ঘটনা। রবিবার তাঁদের সিআইবি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু এই ঘটনায় সবচেয়ে বড় হয়ে উঠেছে ঝাড়খন্ড সরকার ভাঙায় বিজেপি অপারেশন লোটাস শুরু করেছে কিনা।
কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ওই তিন বিধায়ককে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে। তাঁদের দাবি, বিজেপি টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনে ঝাড়খণ্ডের ইউপিএ সরকার ফেলে দিতে চাইছে। এই ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছেন অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
রাজেশ কশ্যপ, ইরফান আনসারি ও নয়ন দিক্ষিত এই তিন কংগ্রেস বিধায়ক নাকি আগেরদিন গুয়াহাটি গিয়ে হিমন্তর সঙ্গে দেখা করেন। কংগ্রেসের দাবি, উদ্ধার হওয়া টাকা তাদের বিধায়কদের কিনতে বিজেপির দেওয়া নিজের একাংশ।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডে অপারেশন লোটাস শুরু করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই মুহূর্তে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস জোট বেঁধে সে রাজ্যের সরকার চালাচ্ছে। জেএমএমের হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে কংগ্রেসের মধ্যে খুব বাড়ছিল তাদের অভিযোগ সরকার পরিচালনায় তাদের কথা শুনছেন না মুখ্যমন্ত্রী এমনকি ক্ষমতার সঠিক ভাগ পাচ্ছে না বলেও কংগ্রেসের একাংশ ক্ষুব্ধ।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের পাশ থেকে সরে বিজেপি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। ভোটের ফল বেরোলে দেখা যায় কংগ্রেস শিবিরেও বড় ফাটল ধরেছে। তাদের বহু বিধায়ক দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেন। এমনিতেই সে রাজ্যে কংগ্রেসের বড় নেতা সুবোধকান্ত সহায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দলের ভিত দুর্বল হয়ে পড়ে।
বুদ্ধিজীবীরা আগেই বাংলায় প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছেন
এরই মাঝে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঝাড়খণ্ড সফরে এলে সকলকে অবাক করে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন নিজে গিয়ে তাঁকে সাদর আভ্যর্থনা জানা। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের অনুমান কংগ্রেসের হাত ছেড়ে এবার হয়তো বিজেপির সমর্থন নিতে পারে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা।
উল্লেখ্য দুর্নীতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সহ শাসকদলের অনেকের বিরুদ্ধেই ইডি-সিবিআই তদন্ত চলছে। এই অবস্থায় কংগ্রেস ভাঙিয়ে সরকার গড়ার জন্য বিজেপি উঠে পড়ে লেগেছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। হাওড়ায় টাকা সহ ধৃত বিধায়করা তারই প্রমাণ বলে দাবি করেছে আকবর রোড।