২১ এর মহারণে মুকুলেই ভরসা বিজেপির

দ্য  কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একুশের আগে গেরুয়া শিবিরে বড়সড় কোনও পদ পেতে চলেছেন মুকুল রায়। এই জল্পনা চলছিল চারদিকে। তা বাস্তবায়িত হওয়া ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।

শনিবার সেই সিদ্ধান্তে হেঁটে মুকুল রায়কে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করল গেরুয়া শিবির। গত বছর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন অমিত শাহ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে অমিত শাহ নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন সভাপতি পদে আনা হয় জেপি নাড্ডাকে। পরবর্তীতে করোনার কারণে কমিটি গঠন পিছিয়ে যায়। শনিবার তা সম্পূর্ণ হয়।

নতুন কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে, ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রামন সিং, ঝাড়খন্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস সহ ১২ জন বর্ষীয়ান নেতা।

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ফলাফল ২ থেকে বেড়ে ১৮ তে পৌঁছয়। যার অন্যতম ক্রেডিট যায় তৃণমূলের একসময়ের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায়ের কাছে। কারণ লোকসভা নির্বাচনে দলের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক ছিলেন তিনি।

দলে দলে একাধিক বাঘা নেতাদের যোগ হয়েছে মুকুল রায়ের হাতে ধরেই।সেবার থেকেই বিজেপির চালক অমিত শাহের নজরে ছিলেন বাংলার চাণক্য।

শেষবার কলকাতার শহীদ মিনারের জনসভায় মুকুল রায়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন অমিত শাহ। তখন থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বিজেপির বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন মুকুল।

২০১৭ সালে রাজ্যসভার পদের পাশাপাশি তৃণমূল ছেড়েছিলেন মুকুল রায়। যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। সম্প্রতি তৃণমূলের বেশ কিছু নেতার সঙ্গে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠতা ২১ এর নির্বাচনের আগে তাঁর কামব্যাকের ইঙ্গিত দেয়। দিল্লির ম্যারাথন বৈঠকে গিয়েও ফিরে আসেন তিনি।

পরে রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়িতে দিলীপ ঘোষের পাশে বসে সাংবাদিক বৈঠক সেই জল্পনার অবসান ঘটায়। শনিবার গেরুয়া শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ পদে মুকুল রায়ের নাম সেই বাঁধনকে আরও শক্ত করে।

তবে এবার সর্বভারতীয় কমিটি থেকে বাদ পড়লেন রাহুল সিনহা। বিজেপির জেনারেল সেক্রেটারি পদে রয়েছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।

সম্পর্কিত পোস্ট