বিজেপির ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’য় অশান্তি, গ্রেফতার শান্তনু-জয়প্রকাশ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিজেপির বিশেষ কর্মসূচি ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’য় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এরপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের।

মুরলীধর সেন লেন থেকে বিজেপির শহিদ সম্মান যাত্রা শুরু হয় মঙ্গলবার। সূচনা করেন কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুভাষ সরকার৷ রাজ্য জুড়ে বিজেপির এই কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে৷

এদিন বিজেপির কর্মসূচি শুরু হতেই পুলিশ জানিয়ে দেয়, কোভিড পরিস্থিতির জন্য কোনও ভাবে শহিদ সম্মান যাত্রা করতে পারবে না বিজেপি। এরপর কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার একাই একটি গাড়ির কনভয় নিয়ে শহিদ সম্মান যাত্রা শুরু করেন। এই যাত্রার জন্য প্রস্তুত দু’টি বিশেষ ট্যাবলো পুলিশের বাধায় আটকে যায় ।

তালিবান ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশি JMB জঙ্গি সংগঠনের নাশকতা শুরু হয়েছিল ১৭ আগস্ট

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “পুলিশ গোটা রাজ্য ঘিরে রেখেছে । আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই শহিদ সম্মান যাত্রা শুরু করতে চাইছিলাম ।”

বিজেপির অভিযোগ, নির্বাচনের আগে এবং পরে মিলিয়ে প্রায় ১৭৫ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক প্রাণ হারিয়েছেন রাজনৈতিক হিংসায়৷ তাঁদের উদ্দেশ্যেই আজকের এই বিজেপি শহিদ সম্মান যাত্রা। রাজ্যে আজ শহিদ সম্মান যাত্রার প্রথম দিন। সকালেই উত্তরবঙ্গে বিধায়ক সহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার বিরাটিতেও বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসা পুলিশের।

বিজেপির তরফে ঠিক ছিল, মুরলীধর সেন লেন থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত শহিদ সম্মান যাত্রা করবেন সুভাষ সরকার। বিমানবন্দর থেকে বনগাঁ যাবেন শান্তনু ঠাকুর। জন বার্লা যাবে বাগডোগরা থেকে আলিপুরদুয়ার। নিশীথ প্রামাণিক বাগডোগরা থেকে কোচবিহার পর্যন্ত যাবেন।

এদিন সকাল থেকে বিজেপি যুব সংগঠনের সদস্যরা শিলিগুড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে জমায়েত শুরু করলে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রায় ৩০ জনকে আটক করে শিলিগুড়ি থানায় নিয়ে যায়। গোটা ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন দিলীপ ঘোষ।

কটাক্ষ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের হাড়-পাঁজর বেরিয়ে পড়েছে। তাঁর প্রশ্ন, কীসের ভয়? এরাজ্যে বিজেপির ৭৭ জন বিধায়ক, ১৮ জন সাংসদ রয়েছেন। মানুষ তাঁদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। কিন্তু, এরাজ্যের সরকার, তা মানতে চাইছে না। এভাবে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণতন্ত্র রক্ষার চেষ্টা করা দুঃখজনক, নিন্দাজনক।বিজেপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। সংসদ অচল করছে তৃণমূল। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে।

সম্পর্কিত পোস্ট