কিছুক্ষণের মধ্যেই নবান্নের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে বিজেপির যুব মোর্চার মিছিল, অতিসক্রিয় পুলিশ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি। মিছিল আটকাতে তৎপর পুলিশ। ড্রোন ও সিসি ক্যামেরায় চলছে নজরদারি। ডানকুনিতে বিজেপি কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ পুলিশের।
বিজেপির রাজ্য দফতর, হাওড়া ময়দান, হেস্টিংস, সাঁতরাগাছি থেকে মোট চারটি মিছিল নবান্নের দিকে যাবে।
- বিজেপির সদর দফতর থেকে নেতৃত্ব দেবেন- দিলীপ ঘোষ
- হাওড়া ময়দান থেকে নেতৃত্ব দেবেন- সৌমিত্র খাঁ, তেজস্বী সূর্য
- হেস্টিংস থেকে নেতৃত্ব দেবেন- মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়
- সাঁতরাগাছি থেকে নেতৃত্ব দেবেন- সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়
বৃহস্পতিবার বিজেপির ডাকা নবান্ন অভিযানে অংশ নিতে যাওয়া দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে রেল পুলিশের বচসা শুরু হয় সোনারপুরে। স্পেশাল ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করলে, বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তখনই রেল পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বেঁধে যায় বিজেপি কর্মীদের।
অভিযোগ, রেল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে বিজেপি কর্মীরা। দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে চলে ব্যাপক ভাঙচুর বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালায় পুলিস। জখম হন বেশ কয়েকজন।
কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মী সমর্থকরা। উঠছে জয় শ্রী রাম স্লোগানও।
রাজ্য সরকারের তরফে বিজেপির যুব মোর্চাকে করোনা আবহে এই এত লোকের সমাবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। যুক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গাইডলাইন। যেখানে স্পষ্ট বলা রয়েছে একশো জনের বেশি জমায়েত চলবে না।
সুপ্রিম কোর্ট বুধবারই বলেছে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আটকে কোনো রাজনৈতিক দলের সমেবশ চলবে না। বুধবার সন্ধেতেই এই চিঠি যুব মোর্চার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
‘বিভিন্ন জায়গায় আটকানো হচ্ছে গাড়ি। প্রয়োজনে বাড়বে মিছিল। অচল হবে রাজ্য,’ হুঁশিয়ারি বিজেপির।