কৃষক নিগ্রহের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ আরএসএসের শাখা বিকেএস

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের দাবি সংক্রান্ত সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নিতে এবার কেন্দ্রকে অনুরোধ জানাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের শাখা সংগঠন ভারতীয় কিষাণ সংঘ (বিকেএস)।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাদের অনুরোধ, কৃষকরা যেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছে রাজনীতির তাসে না পরিণত হয়, তা যেন দেখা হয়।

বিকেএস-র এক নেতার কথায়, এনডিএ সরকারকে সতর্ক হওয়া উচিত। দ্রুত যদি এই সমস্যার সমাধান করা না হয় তাহলে কৃষকদের এই আন্দোলনকে হাইজ্যাক করতে পারে অন্যান্য রাজনৈতিক দল।

একইসঙ্গে ক্ষুব্ধ কৃষকদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাহিনি মোতায়েন বা কোনওরকম হিংসার বিরোধিতা করেছেন এই নেতা।

বিকেএসের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি দীনেশ কুলকার্নি জানিয়েছেন, ৩ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠকের দিকেই আপাতত তাকিয়ে আছেন তারা। তারপর এই বিক্ষোভ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা।

এই দলের বর্ষীয়ান নেতাদের কথায়, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সহ কৃষকদের আরও যে দাবিগুলি রয়েছে সেগুলি সরকারকে পূরণ করতে হবে। নাহলে কৃষি আইন নিয়ে নিজেদের কৌশলী অবস্থান ঠিক করবে তারা।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/suvendu-meeting-in-mahisadal-trinamool-supremo-directs-counter-party-to-protest/

বিকেএস ৩টি দাবি তুলেছে-

  • ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ক্রয় করতে হবে,
  • ব্যবসায়ীদের রেজিস্ট্রেসন থাকতে হবে
  • ব্যাঙ্কের গ্যারান্টি থাকতে হবে।

এই কৃষক আন্দোলনের মধ্যেও রাজনীতির গন্ধ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে বলে এদিন জানান তার। তাদের দাবি, সেই কারণে তারা এখনও আন্দোলনে অংশ নেননি।

এদনি কুলকার্নি রাজস্থান ও পাঞ্জাব সরকারকে এক হাত নিয়েছেন কৃষক আন্দোলনের বিষয়ে। তার অভিযোগ, তাদের পাশ করা কৃষি আইনে কৃষকদের কোনওরকম রিলিফ দেওয়া হয়নি।

বিকেএসের জাতীয় সম্পাদক মোহিনী মোহন মিশ্র কৃষকদের বিরুদ্ধে পুলিশের আচরণের সমালোচনা করেছেন।

তার কথায়, যে সব জায়গায় মাণ্ডির প্রতিপত্তি রয়েছে সেখানেই এই আন্দোলন ঘটছে।

সংগঠনের প্রত্যেকেই এই কৃষক আন্দোলনের জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যগুলিকেও ক্রমাগত কাঠগড়ায় তুলেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট