Bogtui massacre: বগটুইয়ে পুলিশের দায়ের করা এফআইআর নিয়ে একাধিক প্রশ্ন, খতিয়ে দেখছে সিবিআই

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক:বগটুই গণহত্যার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তবে রামপুরহাট থানার এসআই ধ্রুবজ্যোতি দত্ত রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথম যে এফআইআর দায়ের করেছিলেন তার কপি আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। আর তা ঘিরেই উঠছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। উল্লেখ্য সিবিআইও রামপুরহাট থানার ওই প্রাথমিক এফআইআর কপিকে নিজেদের দায়ের করা এফআইআরের সঙ্গে অ্যাটাচ করেছে।

Bogtui massacre: রোজগার বন্ধ, সেই রাতে প্রাণে বাঁচলেও এবার ভাতে মরার জোগাড় বগটুইবাসীর!

রামপুরহাট থানায় বগটুই কাণ্ড নিয়ে দায়ের হওয়া পুলিশের এফআইআরে ভাদু শেখের মোট ২২ জন অনুগামীকে গণহত্যার জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে দায়ি করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, অভিযুক্তরা সকলেই যে বগটুই গ্রামের বাসিন্দা তা নয়। অনেকেই রামপুরহাট শহরের থাকেন। এফআইআর কপি থেকে সেই তথ্য‌ই জানা যাচ্ছে।

তবে সেই রাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে পুলিশ যে বিবরণ তুলে ধরেছে তা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠছে। এসআই ধ্রুবজ্যোতি দত্ত এফআইআর কপিতে উল্লেখ করেছেন, ভাদু খুনের পর উত্তেজনা থাকায় তিনি বাহিনী নিয়ে ওই রাতে বগটুইয়ের প্রবেশ পথে নজরদারি চালাচ্ছিলেন।

৯:৩৫ নাগাদ রামপুরহাট থানার ডিউটি অফিসার রমেশ সাহার ফোন পেয়ে জানতে পারেন গ্রামের কিছু বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা গ্রামের ভিতরে ঢুকে মিহিলাল শেখ, সোনা শেখদের বাড়ি জ্বলতে দেখেন। তৎক্ষণাৎ ফোন করেন দমকলকে।

কিন্তু ওই অফিসারের দেওয়া তথ্য থেকেই জানা যাচ্ছে, এইটুকু পথ পেরিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দমকলের সময় লেগেছে প্রায় ৫০ মিনিট! তারা ১০:২৫ নাগাদ বগটুই গ্রামে পৌঁছয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এইরকম একটি গুরুতর ঘটনায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন এই সামান্য পথ পাড়ি দিতে কী করে ৫০ মিনিট সময় নিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, সেদিন রাতেই অগ্নিদগ্ধ ৪ জনকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন। বাকিদের উদ্ধারকাজ পরের দিন সকাল সাতটার পর শুরু হয়। রাতে পুলিশ গ্রামে থাকলেও দমকল ফিরে গিয়েছিল।

বাড়িতে আগুন জ্বলতে থাকা সত্ত্বেও দমকল কেন ফিরে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন পুলিশ ওই রাতেই বড় উদ্ধারকারী দল নিয়ে এসে অগ্নিদগ্ধ বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা করল না সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

সিবিআই সূত্রে খবর, পুলিশের দায়ের করা এফআইআরের এই তথ্যগত অসংগতি তারা খতিয়ে দেখছে। উল্লেখ্য গ্রামবাসীদের পাশাপাশি বিরোধীদের দাবি, সেই রাতে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিলেন রামপুরহাটের দাপুটে তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সম্পর্কিত পোস্ট