Bagtui Massacre: CBI তদন্তে রাজ্য পুলিশের উদ্দেশ্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: স্ক্রিপটেড নাকি বাস্তব, বগটুইয়ে সিবিআই তদন্ত নিয়ে এমনটা মনে হতেই পারে। এই ভয়াবহ গণহত্যার তদন্ত প্রথমে রাজ্য পুলিশ শুরু করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকেই তদন্তের জন্য সিট গড়ে দেন। প্রথম তিন দিন তাদের তত্ত্বাবধানেই তদন্তের কাজ এগোয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুই গণহত্যার তদন্তের দায়িত্ব গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে।

 

Bihar Cabinet issue: বিজেপির চাপে শরিক নেতাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিলেন নীতিশ

তদন্তে নেমেই এই কেন্দ্রীয় এজেন্সি যেভাবে একের পর এক চাঞ্চল্যকর নমুনা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে প্রথম দিকের তদন্তে রাজ্য পুলিশ করছিলটা কী? চোখের সামনে পড়ে থাকা এইসব নমুনা তারা কেন খুঁজে পেল না!

শনিবার ভালো করে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিবিআই। তাঁদের ডিআইজি অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল রামপুরহাটে ঘাঁটি গেড়ে বগটুই ও সংলগ্ন এলাকায় তদন্ত চালাচ্ছে। আর প্রথমদিনের তদন্তেই ফটিক শেখের বাড়ির পাশে একটি ইয়া বড় বঁটি খুঁজে পান তদন্তকারীরা।

রবিবার ঘটনাস্থল থেকে হাঁসুয়া সহ আরও কিছু ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করেছে সিবিআই। উল্লেখ্য ফটিক শেখের বাড়িও সেই রাতে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর পরিবারের সদস্য গণহত্যায় মারা গিয়েছেন। এখানেই প্রশ্ন, সিবিআই পরে তদন্তভার নিয়ে এই সমস্ত অস্ত্র যদি খুঁজে পায় তবে রাজ্য পুলিশের তদন্তকারীরা কেন এ গুলো খুঁজে পেল না?

বগটুইয়ের মানুষের দাবি, রাজ্য পুলিশের তদন্তকারীরা ভালো করে তদন্ত করছিলেন না। এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশ যে প্রকৃত ঘটনা খুঁজে বার করার বদলে ধামাচাপা দেওয়ার কাজে ব্যস্ত ছিল তা সিবিআইয়ের প্রথম দু’দিনের তদন্ত প্রক্রিয়াতেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।

এদিকে সেই রাতে বগটুইতে কী হয়েছিল তা খুঁজে বার করতে সিবিআই থ্রিডি স্ক্যানারের মতো অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্য নিচ্ছে। পাশাপাশি সিবিআইয়ের তদন্ত শুধুমাত্র ওই রাতের ঘটনায় আটকে নেই। বরং কী কারণে এবং কীভাবে বগটুই গণহত্যা হল তা খুঁজে বার করতে রামপুরহাট সহ বীরভূমের বিভিন্ন এলাকার অবৈধ বালি খাদান ও পাথর খাদানের সঙ্গে কারা জড়িত, কী লেনদেন হয়, শাসক দলের নেতাদের কার কতটা স্বার্থ আছে সবকিছুই খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এই ঘটনায় রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আসিস বন্দোপাধ্যায়ের এক ভাইপোর নাম জড়িয়ে গিয়েছে।

সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন বেআইনি বালি খাদান ও পাথর খাদানের টাকার ভাগকে কেন্দ্র করেই খুন হন উপপ্রধান ভাদু শেখ। তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ঘটে বইয়ের হাড়হিম করা বগটুই গণহত্যা। সিবিআই যে পথে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা যদি শেষ পর্যন্ত বজায় থাকে তবে শাসকদলের বেশ কিছু রাঘব বোয়াল তাদের জালে উঠতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা!

সম্পর্কিত পোস্ট