BREAKING- বিধায়ক পদে ইস্তফা শুভেন্দু অধিকারীর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধায়ক পদে ইস্তফা শুভেন্দু অধিকারীর। আজ চারটে বাজার ৩ মিনিট আগে বিধানসভায় ঢোকেন শুভেন্দু। সেই সময় বিধানসভার অধ্যক্ষ না থাকায় সচিবের ঘরে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।  শুভেন্দুর সঙ্গে বিধানসভায় এসেছিলেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক।

তবে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি শুভেন্দু অধিকারি। শুধু তাঁর পদত্যাগপত্র দেখিয়ে সাদা কালো স্করপিও গাড়িতে বেরিয়ে যান তিনি। তাঁর গাড়ির কাঁচ নীল কাপড়ে ঢাকা ছিল।

তবে শুভেন্দুর ইস্তফা এখনি গ্রহণ করা হচ্ছে না। জানালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুভেন্দুর তরফে পদত্যাগ পত্র ইমেল মারফৎ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে অধ্যক্ষকে।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দুষ্টু গরুর চেয়ে শূণ্য় গোয়াল অনেক ভাল। শুভেন্দুর মত অনেক নেতা রয়েছেন তারা যত তাড়াতাড়ি তারা দলত্য়াগ করে ততই ভাল।”

তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনটি দফতরের পর, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের পর কেউ যদি উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ চান তাহলে সেটা সম্ভব নয়। উনি বিজেপিতে গিয়ে কী পাবেন সেটা উনিই ভাল বলতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গেছে আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। জল্পনা শুক্রবার বা শনিবার বিজেপিতে যোগ দেবেন শুভেন্দু।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/borris-johnson-will-be-the-chief-guest-on-republic-day/

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা ছাড়ার ২ সপ্তাহ পর তৃণমূলের বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গত ২৭ নভেম্বর মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, শুভেন্দুর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে। গত কয়েক দিন ধরে এমন গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে, এ বার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন। শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনাই সত্যি হল।

উল্লেখ্য, গত ২০০৬ সালে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের টিকিটে কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভা থেকে জয়লাভ করেন।এর পর গত ২০০৯ সালে তমলুক থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে শিল্প দফতরের স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।

২০১৪ সালেও তমলুক লোকসভা আসনে জয়ী হন শুভেন্দু। তবে ২০১৬ সালে সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করে বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করেন। সেখানেও জয়ী হন।এর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর দ্বিতীয় দফার মন্ত্রীসভায় পরিবহণ, সেচ দফতরের মত গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি।

মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দেওয়ার পর শুভেন্দু ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ‘রাজনৈতিক অবস্থান’ জানাবেন বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পর। সেই পর্বও এ বার সম্পূর্ণ হল।ফলে তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন বলে রাজ্য জুড়ে তৈরী হওয়া জল্পনার শীঘ্রই অবসান ঘটতে চলছে বলে মনে করা হচ্ছে।

যিনি অন্যের বাড়ি ভেঙে নিজের বাড়ি গড়েন তার তো বাড়ি ভাঙবেই। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

সম্পর্কিত পোস্ট