অনুগামী শিবিরে ফাটল, চলছে দাদার ‘মতি ও গতি’ বোঝার অপেক্ষা….
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পরম শত্রু কখন যে মিত্রতে পরিণত হবে সেটা একমাত্র রাজনীতির ময়দানে জানে। শুক্রবার দিনভর গোটা পশ্চিমবঙ্গের চোখ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর দিকে।
তিনি কি করছেন? আগামী পদক্ষেপ কি হতে পারে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর আবার কোন সমাধান সূত্র মিলল কি? এসবকিছু নিয়েই ছিল উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা দুটি ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছেন।
একদল বলছেন, এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত মাথার উপর ছিল বলেই শুভেন্দু অধিকারী ‘দাদা’ হয়ে উঠেছিলেন। আর আমরা হয়ে উঠেছিলাম ‘দাদার অনুগামী’। অর্থাৎ প্রকারান্তরে আমরা তৃণমূলেরই কর্মী-সমর্থক। কিন্তু যখন শুভেন্দু অধিকারী অর্থাৎ ‘দাদা’ মুখ্যমন্ত্রীর হাত ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছেন তখন আমরাও ‘দাদা’র হাত ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছি। আমাদের কাছে তৃণমূল মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবকিছু।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/dont-care-shuvendu-mamata-announces-election-campaign-program/
তবে তাদের আরও বক্তব্য এতদিন ‘দাদা’ বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থেকে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। আজ সেই দাদা যদি বিরোধী দলে যোগদান করেন, তাহলে আন্দোলনের মানে কি? তাহলে কি দাদার কাছে পদটাই সবকিছু?
আবার অন্যদল বলছে, মুখ্যমন্ত্রী দাদার সঙ্গে পক্ষপাতিত্ব করেছেন। তাঁর নিজের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল চালানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক, যারা রাজনীতির ‘র’ বোঝেন না। এতেই ক্ষুদ্ধ হয়েছেন দাদা।
এর থেকে স্পষ্ট দাদার অনুগামী শিবিরের মধ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে দ্বন্দ্ব। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ত্যাগ, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা, এবং হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর পরিবারের মধ্যে তৈরি হয়েছে ফাটল।
শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তাদের অবস্থান। তারা যে কোন মতেই শুভেন্দু অধিকারীকে সমর্থন করছেন না। তারা দল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দু অধিকারী কী করবেন তিনি কোন পথে পা বাড়াবেন? বাম-কংগ্রেস নাকি বিজেপি তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এটা স্পষ্ট তিনি যে দলেই যান না কেন এতদিন যারা ‘দাদার অনুগামী’ বলে গলা ফাটাচ্ছিলেন তাদের অনেকেই চুপচাপ দাদার পাশ থেকে সরে যাবেন।
পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের কথায়, অনেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে পৃথক মঞ্চ করে লড়াই করার কথাও বলছেন। তবে সবটাই এখনো ধোঁয়াশা।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/tmc-meeting-in-kalighat/
তৃণমূল আর কোনভাবেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নয় শুক্রবারের কালিঘাটের গোপন বৈঠকের পর সেটা কার্যত স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সবাই যতই বলুক না কেন আলোচনার পথ খোলা রয়েছে, সেই আলোচনার ফলাফলের অপেক্ষায় থেকে সময় ব্যয় করতে রাজি নয় শীর্ষ নেতৃত্ব। সেটা কর্মসূচির ঘোষণার পরেই স্পষ্ট।