কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে ব্রিগেডের সভায় থাকছেন বুদ্ধবাবু
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: যতদিন কাটছে ততই শরীর কাহিল হয়ে পড়ছে তার। তবুও ৭৭ বছর বয়সী মানুষটাকে মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি কর্মী-সমর্থকেরা। তিনি আবেগ হয়ে উঠেছেন তাদের কাছে।
মূলত, ২০১১ সালে একটানা ৩৪ বছর শাসনের পর রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয় ঘটে বামফ্রন্টের। এরপরই রাজনীতি থেকে বিদায় নেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ওনাকে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৯ ব্রিগেডের সমাবেশে। দীর্ঘ শারীরিক অসুস্থাকে জয় করেই অশক্ত শরীরে ব্রিগেডের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
প্রায় পয়তাল্লিশ মিনিট ব্রিগেড ময়দানে ছিলেন বুদ্ধদেব বাবু। সকলের নজর ছিল সেদিকে। আর এবারেও সেই পথেই হাঁটছে চাইছেন কর্মীসমর্থকেরা। অর্থাত্ ২৮ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেডের মঞ্চে বুদ্ধবাবুকে হাজির করতে চাইছেন তারা। তবে সশরীরে নয়! পরিকল্পনায় ভারচুয়াল মঞ্চ। অডিও বার্তা। অথবা লিখিত বার্তা।
উল্লেখ্য, গতবারের ব্রিগেডে চিকিত্সকদের বারন উপেক্ষা করে ব্রিগেডে হাজির হয়েছিলেন বুদ্ধবাবু। কিন্তু মঞ্চে ওঠা হয়নি। গাড়ি থেকেই নামতে পারেননি। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কর্মী-সমর্থকদের বুদ্ধবাবুকে দেখার উন্মাদনা ও ব্রিগেডের ধুলো। কুড়ি মিনিট গাড়িতেই বসে ছিলেন।
নয়া কেন্দ্রীয় শ্রমবিধিতে তিন দিন ছুটির প্রস্তাব
কিন্তু এবারও বাড়ি থেকে কোনওভাবেই বেরনো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন চিকিত্সকরা। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কর্মীদের মনোভাব ভালই বোঝেন রাজ্য নেতৃত্ব। যতটুকু জানা যাচ্ছে তাই এবার তারা বুদ্ধবাবুকে দেখার জন্য ভারচুয়ালের আয়োজন করছেন।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে ব্রিগেডে সভা। সুস্থ থাকলেও তাঁকে আনা সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তাকে ভোট ময়দানে কাজে লাগাতে হবে। তাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর একটি বার্তাই পার্টির কর্মীসমর্থকদের কাছে যথেষ্ট।
সেক্ষেত্রে চেষ্টা হবে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ভিডিও বার্তা দেওয়ার। জানা যাচ্ছে, পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ির ভারচুয়াল মঞ্চ থেকে ব্রিগেডের উপস্থিত বাম জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বুদ্ধবাবু।
সেই চেষ্টা ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় ভাবনা, তাঁর অডিও বার্তা শোনানো হবে। তাতেও রাজি না হলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর লিখিত ভাষণ পাঠ করা হবে মঞ্চে।