#Budget2021 সরাসরি দেখুন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বেলা ১১ টা নাগাদ সংসদে বাজেট পেশ করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
“এই বাজেট অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে। যখন অনেকেই নিজেদের পরিবারের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন”। “অনেকেরই আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এই বাজেট একটি ডিজিটাল বাজেট হতে চলেছে।
এখনও অবধি তিনবার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে বাজেট পেশ হয়েছে। এবারেও তাই হয়েছে। সরকার অর্থনৈতিক অবস্থার পুনুরুদ্ধারের জন্য দায়বদ্ধ।
সর্বসাধারণের জন্য সাংসদরা একদিনের আয় দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য প্রকল্প ঘোষণা করেছেন।
৮০ কোটি মানুষকে নিখরচায় রেশন দেওয়া হয়েছে। ৪০ কোটি বয়স্কদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।
কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার ক্ষেত্রে সরকার দায়বদ্ধ। কমবয়সীদের জন্য নতুন কিছু ভাবনা রয়েছে সরকারের। আত্মনির্ভরতার লক্ষ্য নিয়ে বাজেট পেশ হবে। বাজেট এমন হবে যাতে ঘুরে দাঁড়াতে সহজ হয়।
স্বাস্থ্য পরিকাঠামো অনেকটাই বেড়েছে। ৬৪,১৮০ কোটি টাকা আত্মনির্ভর স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ করা হল। এর ফলে ১৭ হাজার স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান পুনরুজ্জীবিত হবে। উপকৃত হবে ৬০০ এর অধিক জেলা। ২০ টি বড় শহরে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।
এই মুহুর্তে ভারতে তৈরি টিকা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। এই টিকার জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যখাতে ২ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হল। এটা স্বাস্থ্য খাতে ১৩৭ শতাংশ বৃদ্ধিকে চিহ্নিত করছে।
২০ বছরের পুরানো গাড়ি বাতিল করতে হবে। স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে বরাদ্দ ১ লক্ষ ৪১ হাজার কোটি টাকা। পরিবেশ শুদ্ধিকরণে ২ হাজার কোটি টাকা।
বস্ত্র শিল্পের জন্য একটি পার্ক তৈরি করা হবে। বিশ্বমানের পরিকাঠামো থাকবে রফতানির ক্ষেত্রে। গড়ে উঠবে কর্মসংস্থান। তিন বছরে ৭ টেক্সটাইল পার্ক তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুনঃ করোনাকালে বাজেট হবে পেপারলেস
ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার খাতে ৫.৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
নতুন করে রাস্তা তৈরি হবে পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি অবধি ৬৭৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
তামিনাড়ুতে তৈরি হবে মাদুরাই কোল্লাম করিডোর। ১১০০ কিলোমিটার রাস্তা কেরালায় তৈরি হবে। মুম্বই-কন্যাকুমারি করিডোর তৈরি হবে। পরিবহন খাতে ১.১৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেরলের জন্য ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে,
খড়গপুর থেকে বিজয়ওয়াড়া অবধি একটি ফেড করিডোর তৈরি করা হবে। ১৮ হাজার কোটি টাকা পরিবহন খাতে বরাদ্দ করা হবে।
১১০৫৫ কোটি টাকা রেলওয়ে খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে। ২২১৭ কোটি টাকা দেশের শহরগুলিকে দুষণ মোকাবিলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। মেট্রো লাইট, মেট্রো নিউ দুটি প্রকল্প চালু করা হবে।
বিগত ছয় বছরে আমরা অনেক পরিবর্তন দেখেছি। এর ফলে ২.৮ কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছে। সরকারী ব্যাঙ্কগুলিকে পুনর্নির্মাণের জন্য কুড়ি হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
৯০ জাহাজ পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। ইউরোপ এবং জাপান থেকে বেশ কিছু জাহাজ এনে কাজ চলবে। এর ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে।
উজ্জ্বলা প্রকল্প আরও মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে যাতে আরও ১ কোটি মানুষ উপকৃত হয়। শহরের গ্যাস পরিষেবা বাড়াতে সরকার বদ্ধপরিকর।
সেবি আইনে পরিবর্তন আনা হবে। বিমা সংস্থায় ৭৪ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগ যা আগের থেকে অনেক বেশী। ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিটে সুরক্ষা বিমা। বিমা রাশি ১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
কৃষকদের কল্যাণের জন্য বদ্ধপরিকর ভারতীয় সরকার। ৭৫ হাজার কোটি টাকা এখনও অবধি কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। নুন্যতম সহায়ক মূল্য কস্ট অব প্রোডাকশনের দেড় গুণ দিতে হবে।
২০২১ আর্থিক বর্ষে গমের জন্য ৭৫ হাজার কোটি টাকা সরকার দিয়েছে। এর ফলে ৪৩ লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছে। ২০২২ অর্থবর্ষে সরকারের লক্ষ ১৬.৫ লক্ষ কোটি টাকা। কৃষিক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নতির ক্ষেত্রে বরাদ্দ অর্থ বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে মৎস চাষের বরাদ্দ অর্থ।
গ্রামীণ উন্নয়ন ক্ষেত্রে ৪০ হাজার কোটি টাকা অবধি বাড়ানো হয়েছে। তফসিলি জাতি ও উপজাতি পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ করা হল ৩৫ হাজার ২১৯ কোটি টাকা
২০২২ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণ করা হবে। খোলা বাজারে কেনা যাবে এলআইসির শেয়ার।
লেহতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে। নতুন শিক্ষানীতি অনুসারে ১৫ হাজার স্কুলের পরিকাঠামো বদল করা হবে। নতুন করে ১০০ সৈনিক স্কুল তৈরি করা হবে। আদিবাসী এলাকায় নতুন ৭৫৮ টি স্কুল তৈরি করা হবে।
অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্পের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
২১-২২ সালে ফিসক্যাল ডেফিসিট ৬.৮ শতাংশ। যা জিডিপির ৯.৫ শতাংশ। ১২ লক্ষ কোটি টাকা বাজার থেকে ধার করা হবে।
করদাতাদের ওপর যথাসম্ভব চাপ দিতে হবে। ৭৫ বছর বয়সী করদাতাদের জন্য সুদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হবে।ওই বয়সী পেনশনভোগীদের জন্য সুদে ছাড়। জমা দিতে হবে না আয়কর রিটার্ন।
পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্বল্প ভাড়ায় ঘরে দেওয়া পরিকল্পনা। গৃহঋণের সুদে ১.৫ লক্ষ টাকা অবধি কর ছাড়। এই সুবিধা মিলবে ৩১ মার্চ ২০২২ অবধি।
গত কয়েকমাসে রেকর্ড পরিমাণ জিএসটি আদায় করা হয়েছে।
দেরিতে পিএফ জমা দিলে টাকা কাটা হবে না। শেয়ারের ডিভিডেন্ট থেকে টিডিএস কাটা হবে না। পেনশন এবঙ সুদের ওপর নির্ভরশীলদের ওপর বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে।
লৌহ শিল্পের ওপর আমদানি শুল্ক কাটানো হয়েছে।