সুদীপকে লুকিয়ে ফোন! তবে কি তৃণমূল ভাঙাতে শুভেন্দুদের এজেন্টের কাজ করছেন ধনখড়
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন তাঁকে মাঝেমধ্যেই ফোন করেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর আগে একই অভিযোগ করেছেন আরেক বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
এই দুই তৃণমূল নেতার অভিযোগ থেকে স্পষ্ট প্রচলিত রাজনৈতিক প্রটোকল না মেনেই তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে যোগাযোগ তৈরির চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। যদিও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ধনখড়ের ফোন পেলেই তিনি কেটে দেন। সুদীপ বলেন, “রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হবে সামনাসামনি, ব্যক্তিগতভাবে ফোন করলে তা ধরব না”।
সুদীপ-সৌগতদের এই অভিযোগের পর রাজ্যপালের বেছে বেছে কিছু তৃণমূল নেতাকে ফোন করার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক স্তরে জলঘোলা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ বেছে বেছে তাদের দলের কয়েকজন অভিজ্ঞ নেতাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে বসে যা অনৈতিক শুধু নয়, সাংবিধানিক রীতিনীতি বহির্ভূত।
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের আগেই ভেঙে যাবে বাংলার তৃণমূল সরকার। ঘটনা হল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ২১৩ টিতেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। পরে উপনির্বাচনে শান্তিপুর ও দিনহাটা জিতেছে তারা।
২১ এর সভায় উত্তরবঙ্গ থেকে রেকর্ড ভিড় হবে, সামাল দিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে কলকাতার নেতাদের
ফলে তৃণমূলের প্রতীকেই রাজ্যের জয়ী বিধায়কের সংখ্যা এখন ২১৫। এছাড়াও আরও অন্তত ৫ বিজেপি বিধায়ক শিবির বদলে তৃণমূলে চলে এসেছেন। এই পরিস্থিতিতে কোনও সহজ অঙ্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতন সম্ভব নয়। তা করতে হলে তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকে হাত করে দলে বড়সড় ভাঙন ধরাতে হবে।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যপালকে নিয়ে অভিযোগ সামনে আসার পর তৃণমূলের একাংশ বলতে শুরু করেছে, ক্ষমতা লাভের জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এতটাই মত্ত হয়ে উঠেছেন যে তাঁর পরামর্শে তৃণমূল ভাঙানোর প্রকল্পে যোগ দিয়েছেন স্বয়ং রাজ্যপাল।
তৃণমূলেরই একাংশ কটাক্ষ করে বলছে, শুভেন্দুর এজেন্টের কাজ করছেন ধনখড়। যদিও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে কটাক্ষের কোনও জবাব দেননি রাজ্যপাল। এই বিষয়ে রাজভবনের পক্ষ থেকেও এখনও পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চুপ বিজেপিও।