ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে শীতলকুচিতে CBI
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোমবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তদন্ত করতে শীতলকুচি যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধি দল । ভোট পরবর্তী হিংসায় আদালতের নির্দেশে রাজ্যে চারটি ভাগে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই ।এদিন কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে পৌঁছান সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারীকরা ।
শনিবার রাতে কোচবিহারের গোপালপুর বিএসএফ ক্যাম্পে পৌঁছান সিবিআই আধিকারীকরা ।রবিবার সকাল থেকেই তদন্তে নামেন তাঁরা ।প্রথমে তুফানগঞ্জের চিলাখানায় ও দিনহাটার জমাদারবসে ঘটনার তদন্তে যায় সিবিআই। কথা বলেন বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে ।
শীতলকুচি থানার পুলিশকে সাথে নিয়ে এদিন এলাকায় তদন্তে নামে সিবিআই । নওতাবাস গ্রামে দুষ্কৃতিদের গুলিতে খুন হওয়া যুবক মানিক মৈত্রের বাবার সঙ্গে কথা বলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের সদস্যরা ।তবে মৃত যুবক কোন দলের সমর্থক তা নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয় বিজেপি ও তৃণমূল দুই শিবিরে ।
পানাগড়ে বেসরকারি পলিফিল্ম কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন মমতা
যদিও মানিক মৈত্রের স্ত্রী পরে থানায় অভিযোগ জানান, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিদের গুলিতেই তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে । এদিন নওদাবাস গ্রামে গিয়ে নিহত মানিক মৈত্রের বাবা রবি মৈত্রের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআইয়ের আধিকারীকরা ।
পরে রবি মৈত্র বলেন ,’ সিবিআই ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চান । আমি ঘটনার দিন গৌহাটিতে ছিলাম । বাড়িতে এসে যা শুনেছি তা এদিন জানিয়েছি । আমি ছেলের খুনের প্রকৃত বিচার চাই ।’
ভোট পরবর্তী সময়ে শীতলকুচির চানঘাট এলাকার বাঁশঝাড় থেকে ধীরেন্দ্র নাথ বর্মন নামে এক বিজেপি সমর্থকের দেহ উদ্ধার হয় ।এদিন সেই পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী টিমের আধিকারীকরা ।
মৃত ধীরেন্দ্র নাথ বর্মনের কন্যা পল্লবী বর্মন বলেন , ‘সিবিআই জানতে চাইল ঘটনার বিবরণ । আমি আগেও যা বলেছি আজও তাই জানালাম ।মানব অধিকার কমিশনকেও সেই কথা জানিয়েছি । সিবিআই তদন্তে এসেছে এবার মনে হচ্ছে ন্যায় বিচার পাব ।’