CBI র‍্যাডারে বীরভূমের পুলিশ সুপার , তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  কলকাতা হাইকোর্ট রামপুরহাট গণহত্যাকাণ্ডের (rampurhat massacre) তদন্তের ভার দিয়েছিল সিবিআই(CBI) ওপর। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সূত্রের খবর, সিবিআই নাকি বীরভূমের পুলিশ সুপার(birbhum SP) নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে (Nagendranath Tripathi) ডেকে জেরা করতে পারে।

প্রাথমিক তদন্তের পর সিবিআই জানিয়েছে যে, এই ঘটনায় আরও ৪০ জন যুক্ত রয়েছে। দমকলকর্মী, স্থানীয় অধিবাসী থেকে শুরু করে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। তাতে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্যও নাকি উঠে এসেছে।

এদিকে রামপুরহাট থানার এসডিপিও সায়ন আহমেদ এবং আইসি ত্রিদীপ প্রামানিককেও জেরা করা হয়েছে। প্রথম থেকেই রাজ্য পুলিশের তদন্তের প্রতি মানুষের আস্থা ছিল না।সিবিআই ইতিমধ্যেই এক ডজন নিচুতলার পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

CBI র‍্যাডারে বীরভূমের পুলিশ সুপার ; অবশ্য অনেকের মতে সমাজ বিরোধী দল, পুলিশের সাহায্য এবং কিছু রাজনৈতিক নেতার মদতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এসব বিষয়ে বিশদ তথ্য নেওয়ার জন্য নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে ডাকে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরও জানাচ্ছে যে হত্যাকাণ্ডের দিন প্রায় ৪০ জন বাহিনী মিলে এই গ্রামের একের পর এক বাড়ি পুড়িয়েছিল।

মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভুল জাতীয় সংগীত গাইলেন TMC কাউন্সিলর, Viral video

CBI র‍্যাডারে বীরভূমের পুলিশ সুপার

এমনকী সিবিআই সূত্র বলছে, ঝলসে যাওয়া দেহগুলোকে পোড়ানোর আগে তাদের মারা হয়েছিল। অটোপ্সি রিপোর্টেও তা প্রমাণিত। মেরে তাদের হাত-পা ভাঙ্গা হয় এবং তারপর তাদের শরীর জালানো হয়। ২৫মার্চ কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata Highcourt) হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়ভার দিয়েছিল সিবিআইকে।

আদালত সিবিআই কে তদন্তের  রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা ৭এপ্রিল পর্যন্ত দিয়েছে। পরবর্তীকালে প্রায় ২২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারমধ্যে নাম রয়েছে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের। ২৪ মার্চ তারাপীঠ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আনারুল হোসেনের ফোনের কল রেকর্ড চেক করছে সিবিআই। তিনি সেদিন কতবার কাকে ফোন করেছিলেন সেই তথ্য সামনে উঠে আসলেই  আরো কিছু অভিযুক্ত ধরা পড়বে বলেই সিবিআই-এর বিশ্বাস। এছাড়াও হাইকোর্টের চাপ সিবিআই এর উপর রয়েছে।

মানুষের মনে এখন মূল প্রশ্ন এই যে রামপুরহাট থানা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে এই নারকীয় কান্ড ঘটে গেল, অথচ পুলিশ ঘুণাক্ষরেও টের পেল না ! সিবিআই এই প্রশ্নের উত্তর খতিয়ে দেখছে।

সম্পর্কিত পোস্ট