গরু পাচার তদন্তে নেমে শহরের চার জায়গায় তল্লাশি সিবিআইয়ের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ফের গুরু পাচার তদন্তে কলকাতায় অভিযান চালালো সিবিআই। তদন্তে নেমে মানিকতাল মেইন রোডে একটি অভিজাত আবাসনের ১৪ তলায় হানা দেয় সিবিআই গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, কলকাতার এক নির্মাণ ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাট সহ শহরের ৪ জায়গায় অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচারের টাকা বিভিন্ন ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। টাকার সূত্র ধরেই উঠে আসে রজন পোদ্দারের নাম। উঠে এসেছে পুর্ব কলকাতার একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নাম। উত্তরবঙ্গের একটি সংস্থার নাম উঠে আসছে বলে জানা গিয়েছে।
সিবিআইয়ের দাবী, ভারত থেকে বাংলাদেশে বেআইনিভাবে গবাদি পশু পাচার করে ব্যাপক পরিমাণে মুনাফা অর্জন করেছে সিন্ডিকেটের মাথা এনামুল হোক। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে গরু পাচার তদন্তে নেমে বড়সড় অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস অবধি ২০ হাজারের বেশী গরু আটকেছিল বিএসএফ। কিন্তু এখনও অবধি কাউকে পাকড়াও করতে পারেনি সীমান্তরক্ষা বাহিনী।
সিবিআই সূত্রের খবর, সেবার সতীশ কুয়ারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণে অর্থের হদিশ পায় সিবিআই। জানা যায়, বিভিন্ন আত্মীয়দের নামে একাধিক স্থাবর সম্পত্তি কিনে রেখেছেন সতীশ। বিনিয়োগ করেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও।
বিএসএফের একধিক কর্তা সহ কাস্টমস দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ, এনামুলের কাছ থেকে ববিপুল পরিমাণে অর্থ ঘুষ নিয়ে গবাদি পশু পাচারের কাজ করতেন এই সমস্ত আধিকারিকরা।
কাদের ভরসায় কাজ করত এনামুলদের মতো পাচারকারীরা তা জানতে এর আগে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের ১৬ টি জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। তবে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাচারকারীদের কিভাবে যোগ রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।