গরু পাচার কান্ডে CBI তলব- নজরে BSF-র ৪ ও রাজ্য পুলিশের২ আধিকারিক

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  গোটা রাজ্য জুড়ে গরু পাচার রুখতে তৎপর গোয়েন্দা বিভাগ। গরু পাচার কাণ্ডে এবার বিএসএফের চার আধিকারিককে তলব করল সিবিআই।

চার অফিসারের মধ্যে একজন ডিআইজি, দু’জন অ্যাসিস্টেন্ট কম্যান্ডেন্ট ও একজন ডেপুটি কম্যান্ডেন্ট পদ মর্যাদার বলে সূত্রের খবর।

একইসঙ্গে রাজ্য পুলিশের দুই আধিকারিক মঙ্গলবার ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, মালদা জেলায় কর্মরত এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর ও এক কনস্টেবলকে তলব করা হয়েছে।

পাচারকাণ্ডে যুক্ত বিএসএফ কম্যান্ডেন্ট সতীশ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরা করেই তদন্তকারীরা আরও আধিকারিকদের যুক্ত থাকার খবর  জানতে পারেন।

২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল দু’বছর মুর্শিদাবাদ, মালদহ সীমান্ত দিয়ে পাচারের সময় কুড়ি হাজার গরু আটক করে বিএসএফ। এত সংখ্যক গরু আটক হলেও একটিও গাড়ি ও পাচারকারী ধরা পড়েনি। সেখান থেকেই তদন্তকারী আধিকারিকদের মনে সন্দেহ হয়।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/da-at-the-rate-of-3-percent-from-january-the-notification-of-the-treasury/

আটক সেই গরুগুলিকে নিলামে কম দামে কিনে নেন পাচারকারীরাই। সিন্ডিকেটের মূল পান্ডা এনামুল হককে জেরা করে বিএসএফ ও কাস্টমস কর্তাদের যোগসূত্র পায় সিবিআই।

বিএসএফ কম্যান্ডেন্ট সতীশ কুমারকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু অফিসার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ রেঞ্জে কারা কর্তব্যরত ছিলেন সে তালিকা বিএসএফের কাছে চেয়ে পাঠায় সিবিআই।

সেসময় এই চার অফিসার বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। এনামুল হকের থেকে তাঁরা প্রচুর অর্থ নিয়েছেন বলে জেনেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর বিএসএফের চার আধিকারিককে বুধবারের মধ্যে নিজাম প্যালেস সিবিআই দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার আসানসোল সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করে গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। একই সঙ্গে আদালতে তোলা হয় বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারকেও।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/congress-mla-abdul-mannan-met-governor-jagdeep-dhankar/

শুনানি শেষে দু’জনকেই জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। নভেম্বর মাসে দিল্লির একটি হোটেল থেকে এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তারপর এনামুল হককে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেয় দিল্লির সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত।

তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও বসিরহাট সীমান্ত এলাকায় কয়েকজন ব্যবসায়ীর উপর নজরদারি শুরু করেন তদন্তকারী দলের সদস্যরা।

এছাড়া, বিএসএফ কম্যান্ডেন্ট সতীশ কুমারের বাড়ি, ব্যবসায়ী রাজন পোদ্দারের মানিকতলার বাড়ি ও তিন জেলায় সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট